হ্যাপি বার্থডে টু ইউ গান ছাড়া কারোর জন্মদিন পালন করা যেন ভাবাই যায় না। এই গান যেন অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে আছে সারা বিশ্বেই । এমন অনেকেই আছেন যারা ইংরেজি না জেনেও হ্যাপি বার্থডে গান টা যেন মুখস্থ। কিন্তু এই গানের সূত্রপাত কোথা থেকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যদি জন্মদিন পালন করা না হতো তাহলে এই গান যে আসতো না তা সবাই জানে! তাই এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হবে না । সবে থেকে বড় কথা জন্মদিনের কারণে আসলে তৈরী হয়নি এই গান। তাহলে কি কারণে তৈরী হয়েছিল এই গান? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১৮৯৩ সালে কিন্ডারগার্টেনের জন্য প্রকাশিত গান গল্পের একটি বইয়ে ছিল ‘গুড মর্নিং টু ইউ’ বলে একটি গান। গানটির কথাগুলি ছিল এরকম: ‘গুড মর্নিং টু ইউ, গুড মর্নিং টু ইউ, গুড মর্নিং ডিয়ার চিলড্রেন, গুড মর্নিং টু অল।’ ভাবা হয়েছিল, এই গানটি গেয়ে পড়ুয়াদের সুপ্রভাত জানাবেন শিক্ষকেরা। গানটি তৈরি করেছিলেন মিলড্রেড জে হিল, যিনি নিজেও পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বোন প্যাটি স্মিথ হিল পড়াতেন নার্সারি এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। প্যাটি-ই এই গানের কথাগুলি বদলে দিয়েছিলেন ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’-তে। আর তারপরেই ক্রমশ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এই গান। এতটাই, যে, ১৯৯৮ সালের ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ অনুযায়ী, ইংরেজি ভাষায় সব চেয়ে পরিচিত গান ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’। প্রেসিডেন্ট কেনেডির জন্মদিনে মেরিলিন মনরো এই গানটিই গেয়েছিলেন, ‘হ্যাপি বার্থডে, মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বলে।
যে কেউ যে কোনও জায়গায় এখন এই গান গাইতে পারে বটে, কিন্তু এককালে রীতিমতো কপিরাইটে বেঁধে ফেলা হয়েছিল এই গানটিকে। ১৯৮৮ সালে এই গানটির স্বত্ব কিনেছিল ওয়ার্নার মিউজিক। নাটক বা সিনেমায় গানটির ব্যবহারে নিষেধা়জ্ঞা চাপিয়ে, এবং ক্ষেত্র বিশেষে, মোটা অঙ্কের মূল্যের বিনিময়ে গানটি ব্যবহার করতে দিয়ে বার্ষিক অন্তত দুই মিলিয়ন ডলার লাভ করত তারা। কিন্তু ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেন পরিচালক জেনিফার নেলসন। এই গানের একটি অংশ সিনেমায় রাখার জন্য তাঁর কাছ থেকে ১৫০০ ডলার দাবি করেছিল ওই সংস্থা। মামলার রায়ে হেরে যায় ওয়ার্নার মিউজিক। জানা যায়, গানটির কথার ওপর কোনও সংস্থার কোনোরকম স্বত্ব নেই। তাই এতদিন পর, অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ‘হ্যাপি বার্থডে’।