একজন রাধুনীর মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা সামনে এসেছে। নেপথ্যে পনিরের বড় টুকরোগুলোর পরিবর্তে টুকরোগুলো ছোট করার মতন সামান্য বিষয় নিয়ে বিবাদ। জানা গেছে গুরুগ্রামের কোনো এক হোটেলে দুই বাবুর্চির মধ্যে বিবাদ লাগে। এক বাবুর্চি পনিরের টুকরো গুলো বড় করে কাটছিল। আরেক বাবুর্চি তাকে বলে পনির ঠিকমতন কাটা হচ্ছে না। টুকরোগুলো ছোট করতে। এই নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। চলতে থাকে বাদ বিবাদ। তা এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে ক্ষুব্ধ হয়ে এক বাবুর্চি অন্য বাবুর্চিকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুগ্রামের সেক্টর-৫০ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সৌরভ, যিনি সোনিপাতের বাসিন্দা, পুলিশকে করা অভিযোগে জানিয়েছেন যে তিনি সেক্টর-৪৯-এর ভাটিকা বিজনেস পার্কে অবস্থিত একটি হোটেলে রান্নার কাজ করেন। তার অভিযোগে জানিয়েছেন ১০ই মার্চ রাত আটটার দিকে সোনিপাতের বাসিন্দা সুনীল, আসামের বাসিন্দা বিষ্ণু এবং আসামের বাসিন্দা স্বর্ণ মায়া পান্ডা হোটেলের রান্নাঘরে কাজ করছিলেন।
তিনি জানান যে তিনি যখন রান্নাঘরে মাশরুম আনতে গিয়েছিলেন, যখন তিনি দেখেন যে বিষ্ণু রান্নাঘরে ছুরি দিয়ে পনির কাটছেন। সৌরভ জানান যে তিনি বিষ্ণুকে পনিরের বড় টুকরো না করে ছোট টুকরা করতে বলেছিলেন। এই বিষয়ে বাধা দেওয়ায় বিষ্ণু রেগে গিয়ে তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন বলে অভিযোগ। সৌরভের অভিযোগ, বিষ্ণুকে গালিগালাজ করতে তিনি তাতে বাধা দিলে তিনি তাঁর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।
ছুরির আঘাতে আহত সৌরভ চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শব্দ শুনে, হোটেল ম্যানেজার রাভিয়া আগরওয়াল এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্যরা সেখানে আসেন এবং আহত অবস্থায় তাকে কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা পরে আহতকে পিজিআই রোহতকে নিয়ে যান। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়ে সেক্টর-৫০ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।