করোনা মহামারী (Corona Pandemic) গত দুই বছর ধরে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বিশ্বে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ (Covid Third Wave) হানা দিয়েছিল। করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখন থেমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনা মহামারী এক শহরে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে। অবস্থা এমন যে, লাগাতার মৃত্যুর কারণে মর্গগুলো মৃতদেহে পূর্ণ হয়ে গেছে এবং এখন লাশ রাখার জায়গা কম পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা (Hongkong Covid Cases News) ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সেখানে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন।
হংকং পাবলিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান টনি লিনের মতে, হংকংয়ে মোট ১১টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে গত ১ মাস ধরে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে সমস্ত শয্যা ভর্তি আছে (Hongkong )। এ কারণে সংকটাপন্ন অনেক রোগী হাসপাতালে বেড না পেয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় ঘরে ঘরে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।
চিকিৎসক টনি লিন এও জানান, করোনায় মৃতের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অচলবস্থা দেখা দিয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের মর্গগুলো ভরে গেছে। অনেক মৃতের লাশ হাসপাতালের লবিতে পড়ে আছে এবং মর্গে স্থানান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। পরিস্থিতি শোচনীয়। তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার পর অনেক বয়স্ক মানুষের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে অনেক বয়স্ক মানুষ কে এই টিকা দেওয়া যায়নি। এরপর করোনা সংক্রমণে মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষই রয়েছেন যারা করোনার টিকা পাননি।
আমাদের জানিয়ে দেওয়া যাক যে হংকং এর মোট জনসংখ্যা (Hongkong Population) মোট ৭৪ লাখ। চৈনিক নববর্ষে, সেখানকার নাগরিকরা সামাজিক বিধিনিষেধ এর উপেক্ষা করেই মজায় মেতেছিল এবং প্রচুর সংখ্যক পাবলিক প্লেসে মানুষকে মজা করতে দেখা গেছে। এই উৎসবের পর করোনা সংক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অনুমান করেন যে এই অবস্থা চলতে থাকলে মে মাসের মধ্যে হংকংয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩,২০৬ – এ।