দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে এইচআইভি আক্রান্ত এক মহিলাকে হাতে ঠেলা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি সিএম ব্রজেশ পাঠক। আসলে, সাহিবাদে বসবাসকারী ৪০ বছর বয়সী মহিলার টিভি সংক্রমণ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে, যেখানে মহিলার এইচআইভিও রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল।
এইচআইভি নিশ্চিত হওয়ার পরে, বুধবার, মহিলা রোগীকে গাজিয়াবাদের জেলা হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টারে ডাকা হয়েছিল। স্বজনরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় তাদের শেষমেষ তাকে চিকিৎসা করাতে হাতে ঠেলা গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে এবং জেলা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বা স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করতে পারছেন না। ভিডিওটি ভাইরাল হলে, মহিলাকে একটি স্ট্রেচার এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এই ভিডিওটি বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন এবং টুইটটি তদন্ত করার পরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এর পরে, গাজিয়াবাদের সিএমও ভবতোষ শঙ্খধর তিন চিকিৎসকের একটি প্যানেলের কাছে মামলার তদন্ত হস্তান্তর করেন। ডাঃ এ কে দীক্ষিত, ডাঃ সান্তরাম ভার্মা এবং ডাঃ পঙ্কজ শর্মার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হয়।
এই তদন্তে, জেলা হাসপাতালে কনট্র্যাক্ট -এ কর্মরত ডাক্তার শীল ভার্মা এবং ছেলে মায়াঙ্ককে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে সিএমও ডাঃ শীল ভার্মার বিরুদ্ধে পরিষেবা বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে একটি সুপারিশ পাঠায়। একই সঙ্গে খোদ ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং তার চাকরি বাতিল করা হয়।
এ ক্ষেত্রে নির্যাতিতার মেয়ে জানান, মাকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। মায়ের টিবি ছিল, এরপর মায়ের এইচআইভিও ধরা পড়ে। মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে স্ট্রেচার ও অ্যাম্বুলেন্স কেউ দেয়নি। তারপর এক ঘণ্টা পর দেওয়া হলো।