উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে দেখা গেল ভিন্ন ধরনের বিয়ের শোভাযাত্রা। যেখানে বরযাত্রীরা সকলেই বলিউডের জনপ্রিয় গানে নাচছিল, মজা করছিল এবং উদযাপন করছিল। কিন্তু এই শোভাযাত্রায় ছিল অন্যরকম। বরযাত্রীদের এই শোভাযাত্রায় কোন বর ছিল না, কিন্তু বরের পরিবর্তে একটি কাঠের হাতুড়ি ছিল। এই শোভাযাত্রা কে ‘হাতুড়ীর বারাত’ ও বলা হয়। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন হাতুড়ি নিয়ে আবার বরযাত্রী কোথায় যাচ্ছে। কেনই বা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা জানুন তাহলে।
বরযাত্রীদের এই শোভাযাত্রায় বরের জায়গায় ছিল একটি কাঠের হাতুড়ি। যাকে পড়ানো হয়েছিল সিল্ক এবং ব্রোকেডের পোশাক। এটি ছিল প্রয়াগ নাগরিক পরিষেবা সংস্থা (PNSS) দ্বারা প্রতি বছর চক এলাকায় আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী ‘হাথোরা বারাত’।
প্রতি বছরের মতন এই বছরও কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর কৌশল্যা নন্দ গিরি হাতুড়ি কে আরতি করার পর কেশর বিদ্যা পীঠ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বিশেষ শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সঞ্জয় সিং বলেন, সারা বছর ধরে এই বিশেষ কাঠের হাতুড়িটি পিএনএসএসের অফিসে আংশিকভাবে একটি বিশেষভাবে তৈরি করা প্লাটফর্মে সজ্জিত করা হয়, যেখান থেকে এটি গঙ্গা নদীতে পবিত্র স্নানের জন্য নেওয়া হয়। বরের মতো রেশমি কাপড় ও মালা দিয়ে সাজানো হয়।
বরযাত্রীদের শোভাযাত্রা সম্পর্কিত আরেকটি অদ্ভুত উপাখ্যান হল এতে কোন পাত্রী নেই। বরযাত্রীদের শোভাযাত্রাকে হিন্দিতে বলে বরাত। আর বরাত মানে মন্দের ওপর ভালোর বিজয়। এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে একজন সম্মানিত অতিথি থাকেন যিনি একটি কুমড়া ভাঙতে একটি হাতুড়ি ব্যবহার করে। কুমড়ো মন্দ বোঝায়। এর পরে, এখানে হোলি উদযাপন শুরু হয়, সিং বলেন। শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সঞ্জয় সিং আরো বলেন, এই ঐতিহ্য কিভাবে শুরু হয়েছিল এবং কতদিন ধরে চলে আসছে তার কোন স্পষ্টতা নেই। তিনি বলেন যে আমরা সবাই জানি যে এটি একটি ঐতিহ্য এবং আমরা প্রতি বছর এটি পালনের জন্য অপেক্ষা করি।