কোনো ভালোবাসার বা স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক কে মজবুত করতে প্রয়োজন স্বাভাবিক শারিরীক সম্পর্কের। দাম্পত্যে সেক্স উপস্থিত না থাকলে সেই সম্পর্কে আসে ফাটল। প্রতিদিন পরিবারের হাজার সমস্যা, অফিস, কাজের চাপ, একাধিক মিটিং। নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন এসব নিয়ে! ফলে দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়ছেন! তাকাবারও সময় পাচ্ছেন না বিছানায় শুয়ে থাকা স্ত্রীর দিকে? তাহলে কিন্তু নিশ্চিত থাকুন অবধারিত আপনার সম্পর্কে বিচ্ছেদ। স্বয়ং চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন।
তাঁদের মতে, আপনার ক্লান্তি বা কাজের চাপে যদি বলেন আজ থাক, আগামিকাল দেখা যাবে’ তাহলে নিশ্চিত থাকুন সেই আগামিকাল পরের দিনেও আসবে না। বরং অশান্তি বাড়বে। সম্পর্কে টানাপোড়েন আসবে। যে কোনও সম্পর্কে সেক্সটা নিয়মিত করা খুব জরুরি মানসিক বন্ধনের পাশাপাশি। কোনও উপায় নেই একথা অস্বীকার করার ।
আর তাই যেমন অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন অফিসের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য , মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার জন্য অ্যালার্ম সেট করা থাকে যেমন, তেমনই যৌনমিলনের জন্যও একটি নির্ধারিত সময় রাখুন। সকলেরই একটু রিল্যাক্সের প্রয়োজন সারাদিনের ব্যস্ততার ফাকে। সম্পর্কেও দূরত্ব তৈরি হবে দিনে একবার অন্তত সেক্স না করলে। সেক্সকেও রুটিনের মধ্যে ফেলুন । কারণ সবদিন থাকবে অফিস, চাকরি, টার্গেট। কিন্তু দিনের পর দিন অবহেলা করা ঠিক না সম্পর্ককে। এতে বাড়ে ভুল বোঝাবুঝি। আর একটা মনের আশা সব মানুষেরই থাকে।
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, যেরকম ভাবে ক্যালেন্ডারে জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী দাগিয়ে রাখেন, তেমনই ভাবে এই দিন এই সময় আপনারা সেক্স করবেন সঙ্গীর সঙ্গে বসে ঠিক করুন। সেখানে অনুপ্রবেশ থাকবে না তৃতীয় কোনও ব্যক্তির। যে দিন বা যে সময়টা আপনারা একসঙ্গে কাটাবেন, সেই দিন আগেই আলোচনা করে নিন আপনাদের স্পেশ্যাল কোনও পরিকল্পনা থাকলে।
সুন্দর করে ঘর সাজিয়ে রাখা, সুগন্ধী মোমবাতি জ্বালা এসব আপনার সঙ্গীর প্যাশন হতেই পারে। যৌন ইচ্ছেও ফেরে এসব অনুষঙ্গ থাকলে। আপনারা ডিনারটা একসঙ্গে করুন। এতে ভালো হবে বন্ডিং। আর ডিনারের সময় মিষ্টি-মিষ্টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে, আরও বেড়ে যাবে রাতে সেক্স করার চাহিদাও।