মহারাষ্ট্রের থেকে দাদু এবং নাতির বিবাদের এক ভয়ঙ্কর পরিণতির ঘটনা সামনে এলো। যেখানে মা বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সময় ছেলে ঘটিয়ে ফেলল নৃশংস কান্ড। বলা হচ্ছে শুধুমাত্র সোনা এবং টাকার লোভে নাকি এমন মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়েছে। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে নাতি তার দাদুকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে লাশ ঘরের মধ্যে মেঝেতে পুঁতে দেয়। বলা হচ্ছে, নাতির নজর ছিল দাদুর টাকা ও সোনার দিকে। যার জেরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিবাদ চূড়ান্ত আকার নিলে সে খুন করে দাদুকে। জানা গিয়েছে বৃদ্ধ ব্যক্তির মেয়ে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। প্রায় ৪৫ দিন পর মৃত বৃদ্ধর মেয়ে বাড়িতে এলে বাবাকে বাড়িতে না দেখে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাবাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় থানায় খবর দেয়।
নিহতের মেয়ে ঘরের মেঝেতে অনেক জায়গায় রক্তের দাগ দেখে এবং ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ নাকে আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে তিনি তার ছেলের কাছে দাদুর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, দাদু একটা ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে কোথাও বাইরে গেছেন। ছেলের কথায় মা এর কিছুটা সন্দেহ হয়ে যায়। এবং দীর্ঘদিন যাবত বাবার কোনো খবরই তিনি পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি শেষমেষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ২৪ বছর বয়সী নাতির উপরে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছলে সেই সময় হই নাতি পুলিশকে সহযোগিতা না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করলে সমস্ত কথা জানিয়ে দেন তিনি। পুলিশ এই ঘটনায় বৃদ্ধের খুনের মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত নাতি কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ আধিকারিক যোগেশ ঘরে জানিয়েছেন, টাকা নিয়ে দাদু ও নাতির মধ্যে বিবাদ ছিল। নাতি কুড়ালের লাঠি দিয়ে দাদুর মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপর নাতি দাদুর মৃতদেহ ঘরেই পুঁতে দেন করে যাতে কারো সন্দেহ না হয়। ৪৫ দিন পর নিহতের মেয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করছিল। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।