দীর্ঘদিন যাবৎ এক কলেজ ছাত্রীকে পাড়ার এক যুবক রাস্তায় উত্যক্ত করতো। কিন্তু কখনই সেইটা মেয়েটি পাত্তা দেয়নি, সেই রাগেই ওই যুবক তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে মেয়ে টিকে। ঠিক এরপরই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। ওই নির্যাতিতা পরে যদিওবা পালিয়ে আসে তাও যেন বিপদ ছাড়েনি। মেয়েটির বাবাকে এখন খেসারত দিতে হচ্ছে এই ঘটনার।
কী ঘটেছিল?
এই ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুরে। কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নির্যাতিতা মেয়েটি। এলাকারই এক যুবক অনেকদিন ধরেই তাকে উতক্ত করছিল। কিন্তু ছাত্রী তার আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরই মাশুল হয়ত গুণতে হল তাকে। প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল মেয়েটি গত ১৫ তারিখ। কিন্তু পথেই ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ তখনও বোঝেনি। অভিযুক্ত যুবক দলবল নিয়ে মেয়েটিকে তুলে গিয়ে আটকে রাখে সুযোগ বুঝে। এরপর তাঁকে জোর করে বিয়ে করে। অভিযোগ তারপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সে।
এদিকে, রীতিমত চিন্তায় পড়ে পরিবার বাড়িতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তিনদিন এইভাবে কেটে যায়।ফের অভিযুক্ত, মেয়েটির সঙ্গে গত ১৮ তারিখ জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে অভিযোগ। কিন্তু কোনও ভাবে সেই সময় নির্যাতিতা পালিয়ে আসে তাঁর বাবার কাছে। গোটা ঘটনা বাড়িতে এসে খুলে বলে সে। গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে। তখন কলকাতায় তার কাকার বাড়িতে রেখে আসে নির্যাতিতার বাবা মেয়েকে বাঁচাতে।
এদিকে, তখনও ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তার রাগ গিয়ে পড়ে মেয়েটির বাবার উপর গোটা ঘটনায়। অভিযোগ, অপহরণ করে সে ছাত্রীর বাবাকেও। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বাবার খোঁজ না পেয়ে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। এরপর থেকে অভিযুক্ত যুবক ফোন করে মেয়েটির বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে ছাত্রীর ফোনে ও তার মায়ের ফোনে। পাশাপাশি যদি মেয়েটি তার বাবাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে চায় তাহলে ওই ছাত্রীকে তার সঙ্গে থেকে সংসার করতে হবে বলা হয়।
গরীব পরিবার বারবার বিষ্ণুপুর থানায় যাচ্ছে এই অবস্থায়। কিন্তু অভিযোগ কোনও রকম ভাবেই কিছু করা হচ্ছে না বলে। শেষমেশ ওই ছাত্রী প্রশাসনের কাছে আবেদন করছে,যেন তার বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারকে যেন গ্রেফতার করা হয়।