কথায় কথায় আমরা নিজের ভাগ্যের কথা টেনে আনি। ভাগ্যে যা আছে ,তাই তো হবে। এমনটাই বিশ্বাস আমাদের সকলের। সেই ভাগ্যই হয়ত অনেক ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ে থাকে আমাদের থেকে কিন্তু অনেক সময় অনেক চমকও অপেক্ষা করে থাকে। যেমনটা হল এই তরুণীর সাথে। নিজের ভাগ্যের উপর টানা এক বছর বিশ্বাস হারাননি তিনি। দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার ফলও যেন মিলল হাতে নাতে।
অধ্যাবসায়ের আর বিশ্বাসের চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই তরুণী। গত এক বছরের ৫২ সপ্তাহ ধরে একটিই লটারি নম্বরে ক্রমাগত টিকিট কাটতেন আমেরিকা নিবাসী এক তরুণী। কিন্তু কোনও বারই কপালে জুটতো না কোনো পুরস্কারই। কিন্তু নিরাশ হতেন না এই তরুণী। ফের নতুন উদ্যমে কেটে চলতেন লটারির টিকিট। কিন্তু একই নম্বরে। হতোদ্যম না হয়ে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। অবশেষে মিলল অধ্যবসায়ের ফল। ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল। তাও আবার অল্প স্বল্প না সেই নির্দিষ্ট লটারির নম্বরেই জিতলেন মোট ৫ কোটি টাকা।
ঘটনাটির সাক্ষী রইল আমেরিকার মিশিগান শহর। লটারি তে এই মোটা অঙ্কের টাকা জিতেছেন যিনি সেই তরুণীর নাম জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে তিনি ওকল্যান্ড কাউন্টিতে বসবাস করেন। ওই তরুণী মিশিগানলটারি.কম (michiganlottary.com) নামের একটি লটারি সংস্থা থেকে অনলাইনে টিকিট কিনতেন প্রায়শঃই। লটারি জেতার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক ইন্টারভিউয়ে তরুণী জানান, ‘‘এক বছর ধরে অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে আমি লটারি টিকিট কিনি। প্রতি বার একই নম্বরের টিকিট কিনতাম। অনলাইনেই লটারির খেলা হয়। এই সপ্তাহে খেলার ফলাফল দেখার পর জ্যাকপটে আমার টিকিটের নম্বর মিলে গেছে দেখে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে লটারি সংস্থায় ফোন করি। ওরা জানায়, আমি জ্যাকপট জিতে গেছি।’’
ইতিমধ্যেই লটারিতে প্রাপ্ত অর্থ তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণী। যদিও জেতা এতগুলো টাকা দিয়ে কী করবেন তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি তিনি। টাকা দিয়ে প্রথমেই নিজের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতে চান বলেই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।