এক কিশোরী ইভটিজিং ও মরফড ছবি ভাইরাল হওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছে! এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ময়নাগুড়ি পূর্ব শালবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি। মৃত ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে৷ অভিযোগ, কিশোরীর সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দিয়েছিল সে ফটোশপ করে। ওই যুবক প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। পরিবারের দাবি, ওই ‘মরফড’ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মেয়েটি ময়নাগুড়ি পূর্বশালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিল। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ে। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে যাওয়া কিংবা টিউশন যাওয়ার সময় স্থানীয় এক যুবক তাকে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করত। পাশাপাশি, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মোবাইলে ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শুক্রবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি ওই ছবি ভাইরাল করার অপমান সহ্য করতে না পেরে। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন মৃতের জেঠ্যু কুলেশ রায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
ময়নাগুড়ি থানার IC তমাল দাস বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি আমরা।’অন্যদিকে, এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে নাবালিকাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল। পিংলা থানার জোড়াবাঁধ এলাকায় বুধবার রাতে এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার পথ অবরোধ করল স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, শেখ মুস্তাফা অভিযুক্ত যুবকের নাম। শেখ মুস্তাফা বিবাহিত পিংলা থানার ক্ষীরাই এলাকার বাসিন্দা। জোড়াবাঁধ এলাকায় ওই এলাকারই এক নাবালিকাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে বলে অভিযোগ। তবে এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত। পিংলা থানার পুলিশ জানিয়েছে তার খোঁজ শুরু হয়েছে এবং তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পরিবারের সঙ্গে সার্কাস দেখতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা ও তার পরিবার পিংলার জোড়াবাঁধ এলাকায়। নাবালিকা ও পরিবারের সদস্যদের মারুতি ভ্যান নিয়ে পথ আটকায় শেখ মুস্তাফা সার্কাস দেখে ফেরার পথে। নাবালিকাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মুস্তাফা কোপ মারে বলে অভিযোগ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই। এরপর মারুতি ভ্যানটি নিয়ে চম্পট দেয় মুস্তাফা নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুরু করলে। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায় পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নাবালিকাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় অবস্থা গুরুতর হওয়ায়। সে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।