বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে বিক্রি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের ধরা পড়ে গেল পাচারকারী মহিলা। তবে মূল অভিযুক্ত যুবক পলাতক। এই যুবতীকে কলকাতা থেকে বিয়ের টোপ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার ইসলামপুর বাস টার্মিনাস সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানকার এক যুবক কলকাতার এক যুবতীকে বিয়ের টোপ দিয়ে নিয়ে এসেছিল। তার পর তাঁকে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো যুবতীকে এক মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই মহিলাই কলকাতার যুবতীকে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রির ব্যবস্থা করে। তখন কয়েকজন ওই যুবতীর হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করে। ওই যুবতী চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখন মূল অভিযুক্ত যুবক চম্পট দেয়। আর মহিলাকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম নুসরত বেগম। তার ছেলে পলাতক। ওই ছেলেই বিয়ের টোপ দিয়ে কলকাতা থেকে যুবতীকে ইসলামপুরে নিয়ে এসেছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছেলেটি পালিয়ে যায়। তার খোঁজ করা হচ্ছে। ওই মহিলার বাড়ি ইসলামপুর রেড লাইট এলাকায়। তাই তার নিষিদ্ধপল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ওই যুবতীর বাবার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা দাবিও করে এই মহিলা। এই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে ওই মহিলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই মহিলার দাবি, তার ছেলে ওই যুবতীকে বিয়ের করার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। ওই মহিলা তার নিজের বাড়ি ইসলামপুর থানার দহস এলাকায় বলে জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ওই যুবতী ও মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।