যখন সে ক্লাস সিক্সে পড়তো তখন মেয়েটির নিজের থেকে ২৪ বছরের বড় এক ব্যক্তিকে তার বেশ পছন্দ হয়েছিল। এরপরে যখন সে হাইস্কুলে ওঠেন তখন সে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সাথে একটি রোমান্টিক সম্পর্ক শুরু করেছিল। এদিকে ততদিনে ঘটে গিয়েছে আরো একটি বিষয়। এই ব্যক্তি আর কেউ নন, মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিকের বাবা।
যদিও এই যুগলের পরিবার এবং বন্ধুরা এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল, তবুও এই অসম প্রেমিক প্রেমিকা জুটি সম্পর্কটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই মেয়েটির নাম সিডনি ডিন। তার বয়স এখন ২৭ বছর। আর তার স্বামী পলের বয়স ৫১ বছর। দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে থাকেন।
সিডনি ডিন প্রথম স্বামী পলের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন যখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ছিলেন। এরপর ওই মহিলা নিজের স্কুলের দিনে পলের ছেলের সাথে ডেটিং করত। পরে দুজনেরই ব্রেকআপ হয়ে যায়। কিন্তু তারা দুজনেই বন্ধু রয়ে যায়। সিডনি তার বাড়িতে তার সাথে তার পরিবারের সদস্যদের সময় কাটাতে যেতেন।এইভাবেই সিডনি ছেলেটির বাবা অর্থাৎ পলের সাথে সংযোগ অনুভব করতে শুরু করে। সিডনির বয়স যখন ১৬, তখন দুজনের মধ্যে রোমান্স শুরু হয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে আমেরিকার অনেক রাজ্যে, ১৬ বছর বয়সে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক বৈধ।
অন্যদিকে বয়সের অনেকটাই পার্থক্যের কারণে এই সম্পর্ক নিয়ে সিডনি ও পলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে ও আত্মীয়দের ক্ষোভ ছিল। তা সত্ত্বেও ২০১৬ সালে দুজনেই বিয়ে করেন। এখন বিয়েরও প্রায় ৬ বছর হতে চলেছে। কিন্তু তার অধিকাংশ ঘনিষ্ঠ বন্ধুই এই সম্পর্ক মেনে নেয় না। তাতে তারা বিচলিত নন। সিডনি বিশ্বাস করে যে তাদের সম্পর্ক গতানুগতিক সম্পর্কের থেকে অনেক আলাদা। সে বলে, আমি কখনই ভাবিনি যে আমি পলের প্রেমে পড়ব। তবে আমি খুব খুশি যে আমি পেরেছি। আমি শুধু পলের সাথে রোমান্সই করেছি। পলের ইতিমধ্যে দুটি সন্তান ছিল। দীর্ঘদিন তারা এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু এখন তারাও বিবাহিত এবং তারা আর সিডনি এবং পলের সম্পর্কের বিরুদ্ধে নন।