গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেউ কি খুশি হয়? হ্যাঁ হয়! পৃথিবীতে নানা ধরনের মানুষ আছে এবং তাদের নিজস্ব নিজস্ব পছন্দ আছে। অনেক সময় আমরা ছোটবেলা থেকে কিছু ইচ্ছা নিয়ে চলি, কিন্তু সেগুলো পূরণ করতে পারি না। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সেগুলো পূরণ করার ইচ্ছাই আমাদের বাকেট লিস্ট। যদিও, কেউ হয়ত কখনো শুনেননি যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়াও কারো বাকেট লিস্টে থাকতে পারে। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর এক আমেরিকান মেয়ে পুলিশকে যা বলল তা শুধু অভিনবই নয় মজারও বটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাসকারী ১৯ বছর বয়সী তরুণী জানিয়া শাইমিরাকল ডগলাসের (Janiya Shaimiracle Douglas) এই অদ্ভুত ইচ্ছা এই মুহূর্তে শিরোনামে। সাধারণত মানুষের ইচ্ছা হয় স্বপ্নের স্থানে ভ্রমণ, সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং, বা দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চারে যাওয়া, কিন্তু এই তরুণীর আকাঙ্ক্ষা কছিল যে তার জীবনে অন্তত একবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে নিয়ে যাবে। এই ইচ্ছা পূরণ করতেই ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছেন তিনি।
গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে তরুণী!
মিরর রিপোর্ট অনুসারে, হোমস্টেডের বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী জনিয়াকে পুলিশ সকাল ৭.৪৭ মিনিটে হাই স্পিডে গাড়ি চালানোর জন্য অভিযুক্ত করে। মনরো কাউন্টি শেরিফের পক্ষ থেকে জনিয়ার বিরুদ্ধে তার গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং একটি রাস্তার মোড়ে যেখানে গাড়ি থামানো মানা সেখানে থামার অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ পুলিশ যখন তাকে এই ভুলগুলির কথা জানায় এবং বলে যে তাকে হেফাজতে নিতে হবে তখন জনিয়ার খুশির সীমা ছিল না। সার্জেন্ট রবার্ট ডশ বলেছেন যে মেয়েটি তাকে বলেছিল যে – ‘হাইস্কুলের দিন থেকেই তার ইচ্ছা ছিল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে’। অবশেষে ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।