বাবা মার অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের সাথে রাতে নিজের ঘরে দেখা করতো কিশোরী। শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠও হতো। কিন্তু একদিন হঠাৎই নিজের নাতনি কে আপত্তিকর অবস্থায় আবিষ্কার করলো কিশোরীর দিদা। দিদা যাতে বিষয়টা কাউকে না জানাতে পারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিল মেয়েটি ও তার প্রেমিক।
উত্তরপ্রদেশের মথুরায় পাঁচ দিন আগে এক বৃদ্ধা মহিলার খুনের ঘটনা সামনে আসে। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে, ঘটনাটির মীমাংসা করে, পুলিশ দাবি করেছে যে মৃত বৃদ্ধার নাতনি খোদ নিজেই তার প্রেমিকের সাথে মিলে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপার ডক্টর গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন যে গত ৮ই মার্চ পালিখেদা গ্রামে এক বৃদ্ধ মহিলাকে খুন করা হয়েছিল। তার নাতনি, যিনি সেই বৃদ্ধাকে খুনের সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন, তিনি পুলিশ কে জানিয়েছিলেন যে বাড়িতে আসা কিছু দুর্বৃত্ত ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে তার দিদা কে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নামলে তরুণীর বক্তব্যের মধ্যে অনেক অসংলগ্নতা খুজেঁ পায়।
পুলিশ জানান, তদন্তে জানা গেছে, বৃদ্ধার নাতনি ও তার প্রতিবেশী এক কিশোর মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জানান, দিদা ওই কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী ছেলের সাথে রুমে দেখা করতে দেখেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠ প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি জানালে সে দিদাকে হত্যা করে। যখন বৃদ্ধা জানতে পারে যে নাতনী এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে তখন তিনি বাবা-মায়ের সামনে তাদের দুজনের কৃতকর্ম তুলে ধরার হুমকি দেয়।
এরপর মেয়েটি তার প্রেমিকের হাতে লাঠি দিয়ে দেয় যে লাঠি দিয়ে প্রেমিক কিশোর বৃদ্ধার মাথায় সজোরে আঘাত করে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত কিশোরের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি ও দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ। বয়সে নাবালক হওয়ায় দুজনকেই বর্তমানে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।