ইডি সূত্রে খবর, মোবাইল প্রতারণা চক্র চালাতেন এই নিসার। অনলাইনের মাধ্যমে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালিয়ে সেখান থেকে টাকা রোজগার করা হত বলে খবর।
কোটি কোটি টাকা আবারও উদ্ধার হয়েছে। গোটা রাজ্য সম্পূর্ণ ঘটনা দেখছে। নগদ ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে। শনিবার নিসার আলি নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তদন্তকারী দল হানা দেয়। এরপরই বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। ওই বাড়িতে একটি শোবার ঘরে খাটের তলায় টাকা সাজানো ছিল। ইডি জানিয়েছে , নিসার আলী মোবাইলে প্রতারণাচক্র চালাতো। অনলাইন গেমিং অ্যাপের নামে নিসার এক প্রতারণা চক্র চালিয়ে প্রচুর টাকা কামিয়েছে নিসার। প্রচুর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে যার কোনও হিসেব নেই।
পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হানা দেয় ইডি। এরপর ইডির তরফে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী , পরিবহণ ব্যবসার পাশাপাশি নিসার খানের আমদানি-রফতানিরও ব্যবসা রয়েছে। যখন গোয়েন্দারা আজ সকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান তখন তার বাড়ি থেকে পাঁচশ ও দু’হাজারের বান্ডিল-বন্ডিল নোট পাওয়া যায়। প্রচুর নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৭ কোটি টাকা ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে আরও বাড়তে পারে এর পরিমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন , ‘টাকা রাখা ছিল সেখানে খাটের নীচে। সেখানে টাকা গোনা শুরু হচ্ছে। সেখানে ২ হাজার টাকার ৭০০ বান্ডিল রাখা ছিল।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী , নিসার খানকে তারা এলাকাতেই দেখেছেন। তারা বরাবর জানতেন যে নিসার আলী পরিবহন ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছেন। অবশ্য এর পাশাপাশি আর কি কি করতেন তা কেউ বলতে পারছেনা।
এ দিকে, সিআরপিএফ জওয়ানরা গোটা বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও জওয়ান গোটা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইডির তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে। নিয়ে আসা হবে টাকা গোনার মেশিনও বলে জানা যাচ্ছে। তবে কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, তিনি কীভাবে সেই টাকা এসেছে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা নিসার খানের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সেই কারণে বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে।