ফ্রান্স নিজস্ব টিকা পেতে চলেছে। এ ব্যাপারে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের দুই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সানোফি এবং জিএসকে গত বছর থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছিল । সোমবার তাদের টিকার পরীক্ষায় সাফল্য এসেছে বলে তারা জানিয়েছে। এ বছরের শেষ থেকেই টিকার উৎপাদন শুরু করা যাবে সব ঠিক থাকলে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বের টিকা তালিকায় আরও একটি নাম জুড়বে। l জোগানও বাড়বে।
এই টিকা একই সঙ্গে করোনাজয়ীদের জন্য বুস্টার শট হিসেবেও বিশেষ কার্যকরী হতে চলেছে বলে জানিয়েছে ফরাসী সংস্থাটি। ৭২২ জন স্বেচ্ছাসেবীর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল এই টিকার দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায়। তাতে দেখা গিয়েছে করোনাজয়ীদের শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডিকে এই টিকা আরও শক্তিশালী করতে পেরেছে। ফলে আগামী দিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন যাঁরা, তাঁদের বুস্টার শট হিসেবেও এই টিকা বিশেষ কার্যকরী হতে চলেছে বলে দাবি সানোফি এবং জিএসকে-র।
তবে ফরাসী সংস্থাটি আপাতত বিশ্বের টিকা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারাকেই বড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখছে । সানোফির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস ট্রাওমফে বলেন, ‘‘বিশ্বে করোনা ভাইরাস নিয়ে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাতে সাহায্য করতে পারবে এই টিকা আমাদের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার সাফল্য দেখে বলতে পারি। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে যত বেশি টিকার জোগান পাওয়া যায় ততই ভাল। তবে এই টিকা ভাল কাজ করবে বুস্টার ভ্যাকসিন হিসেবেও।’’
ফ্রান্সের টিকা ২০২০ সালে তৈরির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। এই টিকা কার্যকরী নয় পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল প্রবীণদের উপর। ওই টিকা তাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে পারেনি। তবে ১৮-৯৫ বছর বয়সিদের উপর এবারের টিকাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর । একই সঙ্গে শরীরে থাকা অ্যান্টিবডি ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ জোরালো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে গবেষণায়।
আপাতত ফ্রান্স টিকার তৃতীয় দফার পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে। তৃতীয় ৩৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর সানোফি এবং জিএসকে এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল হবে বলে জানিয়েছে।