গোটা বিশ্বে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ। নেপথ্যে গত নভেম্বর মাসে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস (Coronavirus) এর নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। কি করে এই নতুন স্ট্রেনের মোকাবিলা করা যায় তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক মহল। সংক্রমনের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে চিন্তা বাড়িয়ে সামনে এলো আরেকটি খবর। ফ্রান্স (France) জানিয়েছে তাদের দেশে সন্ধান মিলেছে আরেকটি নতুন করোনা স্ট্রেনের। সেটির নাম IHU।
গত নভেম্বর মাসের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল সার্স-কোভ-২-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। কিন্তু করোনাভাইরাস এর এই নতুন প্রজাতি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে এতটুকুও সময় নেয়নি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আগুনের গতিতে সারা পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টি করে দিয়েছে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। শুধু তাই নয় এই নতুন ভেরিয়েন্ট এর হাত ধরেই পৃথিবীতে হানা দিয়েছে করোনার নতুন ঢেউ। গবেষকরা এই নতুন প্রজাতি ওমিক্রন কে বিশ্লেষণ করে জানিয়েছিল মোট ৩৭ বার নিজের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটিয়েছিল ওমিক্রন। অর্থাৎ ৩৭ বার মিউটেশন এর মধ্য দিয়ে গিয়ে এই প্রজাতি হয়ে উঠেছে মহা সংক্রামক।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফ্রান্সের খোঁজ মেলা এই স্ট্রেন ওমিক্রন এর থেকেও বেশি মোট ৪৬ বার মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। যার কারণে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বলয় পেরিয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা এর আরও বেশি।
IHU বা B.1.640.2 স্ট্রেনটিতে ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছেন ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিক। এদের প্রত্যেকেই আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে এই IHU স্ট্রেনটির উৎপত্তি আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনে কিনা সেখানেই সেটা এখনও জানা যায়নি।
স্বাভাবিক ভাবেই ওমিক্রন ঘিরে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফের একটি নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মেলায় প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি ওমিক্রন এর থেকেও বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম এই স্ট্রেন। এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য আশ্বস্ত করছেন গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এমন সম্ভাবনা কম। কেননা ফ্রান্সের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমনের যত ঘটনা সামনে আসছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ওমিক্রন। ফলে নতুন স্ট্রেন এখনই তাকে সরিয়ে জায়গা করে নিতে পারবে না। উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর এই স্ট্রেনের প্রথম সংক্রমণের খোঁজ মিললেও এই প্রথম ১২ জন এমন মানুষের খোঁজ মিলল যারা এর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।