বর্তমান দুনিয়ার এক ত্রাসের নাম করোনা ভাইরাস। পৃথিবীর সমস্ত দেশ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। মাস্ক ব্যবহার , সামাজিক দুরত্ব বিধি ইত্যাদির পাশাপাশি একমাত্র যে বিষয়টি আপনাকে এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে তা হল আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বর্তমানে প্রমাণিত এই নোবেল করোনা ভাইরাস বায়ু বাহিত। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের জীবানু। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, তাই খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরছে। তাই মাল্টি ভিটামিন বা জিঙ্ক জাতীয় জিনিসের পাশাপাশি এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খাদ্য তালিকায় রাখলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। জেনে নিন কি সেই খাবার।
করোনা ভাইরাসের কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখুন। আমন্ড বাদাম , চীনা বাদাম , ছানা বা ডিম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য হলুদের বিকল্প নেই। হলুদ একটি অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রিবায়োটিক উপাদান যা আমাদের অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়ার উৎপাদন করে। কাঁচা হলুদ আর এক চা চামচ ঘি গরম করে প্রতিদিন সকালে খান। এটি ইমিউনিটি বাড়াতে এবং শুকনো কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে।
বিভিন্ন মরশুমী শাকসবজি এবং ফল খাওয়া উচিত। এই সমস্ত ফল ও শাক সবজি বিটা ক্যারোটিন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনে সমৃদ্ধ। মাশরুম, টমেটো, শিমলা মরিচ বা ক্যাপসিকাম এবং ব্রোকলির মতো সবুজ শাকসবজি, পালং শাক ইত্যাদি ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার ভাল বিকল্প।
এছাড়াও কাঁচা রসুনের কোয়া, তুলসী পাতা এবং কালো জিরা ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়তা করে। কিছু নির্দিষ্ট বীজ ও বাদাম যেমন সূর্যমুখীর বীজ, ফ্লাক্স বীজ, কুমড়োর বীজ এবং তরমুজের বীজগুলি প্রোটিন এবং ভিটামিন ই এর ভালো উৎস। যার ফলে ইমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম।