আজ ফলহারিণী কালীপুজো। আজকের দিনটি মহাকালী পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিনটি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে বিশেষ ভাবে পালিত হয়। জানেন কি এর ইতিহাস ও মাহাত্ম্য।
বাঙালি জীবনে ফলহারিণী কালী পুজোর তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনে। ১২৮০ বঙ্গাব্দের ১৩ই জৈষ্ঠ্য ফলহারিণী কালী পুজোর তিথিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা দেবী কে সাক্ষাৎ ষোড়শী জ্ঞানে পুজো করেন। যেহেতু ফলহারিণী কালী পুজোর দিন শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মা কে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন তাই আজও রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে এই পুজো ‘ষোড়শী’ পুজো নামে পরিচিত। সেই জন্যে ফলহারিণী অমাবস্যা অত্যন্ত শুভ ও তাৎপর্যপূর্ণ।
জ্যৈষ্ঠমাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ইত্যাদি নানারকম ফলের গ্রীষ্মকালীন ফল পাওয়া যায়। তাই বিভিন্ন রকম ফল দিয়ে এই দিন মায়ের পুজো করা হয়। ফল এখানে সাধকের কর্ম-রূপ ফলের প্রতীক। মহাকালীর চরণে এদিন ভক্ত তাঁর জীবনের সমস্ত কর্মফল নিবেদন করেন। এই পুজোর সময়ে জ্বালাতে হয় একটি তেলের প্রদীপ।
হিন্দু ধর্মে শ্রদ্ধা সহকারে পূজিত হন জগতের মঙ্গলময়ী মা কালী। জগতের স্থিতি সৃষ্টি ও প্রলয়কে যিনি পরিচালনা করেন সেই চৈতন্য রূপী কালী। মহাকালী জীবের কর্মফল প্রদানকারী। কর্মফল অনুসারে তিনি প্রত্যেক জীব কে তার ভালো-মন্দ – এর ফল দান করেন। মা কালী রূপে একধারে ভয়ংকরী, অন্যদিকে অপার করুণাময়ী। তিনি প্রসন্ন হলে জীবন থেকে দুর হয় দুঃখ দুর্দশা , শারীরিক-মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মোক্ষ মেলে।
২৯২১ সালে ৯ জুন, বুধবার দুপুর ১.৩২ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হবে, ১০ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.২৮ পর্যন্ত অমাবস্যা থাকবে। এই অমাবস্যায় ফলহারিণী কালী পুজো করা হয়।