পৃথিবীতে মানুষের কত না আজব কার্যকলাপের কথা শোনা যায় যেমন এই ব্যক্তি। তিনি প্লেনে উঠলেনন মহিলাদের অন্তর্বাস মুখে দিয়ে। কিন্তু কেন?
ফ্লোরিডার এক ব্যক্তিকে এই সপ্তাহের শুরুতে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ সে মাস্কের পরিবর্তে তার নাকে এবং মুখে মহিলাদের অন্তর্বাস পড়েছিল।
ফোর্ট লডারডেল ফ্লাইটে অন্য একজন যাত্রীর তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে ফ্লোরিডার ওই ব্যাক্তি যার নাম অ্যাডাম জেন একটি বিমানের সিটে বসে আছে এবং তার মুখের উপর একটি লাল থং পেন্টি চওড়া করে পরা আছে। এবং সে বিমান পরিচারকদের সাথে তর্ক করছে যে এটিই নাকি তার ফেস মাস্ক যেটি তাকে করোনার হাত থেকে বাঁচাবে। সাথে সাথে আরো বলছে যে তারা তাকে বিমান থেকে নামানোর আগে যেন এটি ভেবে দেখে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানুয়ারী মাস থেকেই সমস্ত মার্কিন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য একটি মাস্ক ম্যান্ডেট ঘোষণা করেছে এবং সম্প্রতি এটি 2022 সালের মার্চ পর্যন্ত প্রসারিত করেছে।
এই মাস্ক ম্যান্ডেটে স্পষ্ট জানানো আছে যে “সিডিসি আদেশ অনুসারে, মুখের মাস্কগুলি নাক এবং মুখকে যেন ভালোভাবে ঢেকে রাখে এবং ঢিলেঢালা বা কোনো ফাঁক না থাকে। মাস্কটি ভালভাবে ফিট করতে হবে।”
ভিডিওতে দেখা যায়, জেনের মুখ এবং নাকের সামনে মেয়েদের পেন্টি থংটি আলগাভাবে ঝুলছে, তার চিবুকের নীচে ফ্যাব্রিকের নীচের ফালা, তার চোয়ালও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই জোর দিয়েছিলেন যে একটি ভাল ভাবে ফিটিং মাস্ক করোনা মোকাবিলায় কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এখন ফের ওমিক্রনের হানা দেওয়ায় আরও সুরক্ষিত N95 মাস্ক ব্যাবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিডিওতে আরও কয়েকজন যাত্রীকে প্লেন ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায় ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার পর, আপাতদৃষ্টিতে জেনের সমর্থনে।
কিন্তু ওই ব্যক্তির দাবি যে মাস্ক পড়ে প্লেনে উঠে তারপর প্লেন মাঝ আকাশে থাকলে ফের জল অথবা খাবার জন্য মাস্ক তো খুলতেই হয়। তাহলে অযথা মাস্ক পরার দরকার কি?
অন্যান্য সাক্ষাত্কারের ক্লিপগুলিতে, জেনি বলেছিলেন যে তিনি মহামারী চলাকালীন অন্যান্য ফ্লাইটে অন্তর্বাস পরেছিলেন।
জেনকে এখন ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সাথে উড়তে নিষেধ করা হয়েছে যতক্ষণ না তার এই বিষয়টি অফিসিয়াল পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যায়।