জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোড়া জেলার (Bandipora district) এর একটি ছোট গ্রাম এখন ভারতের প্রথম প্রত্যন্ত গ্রাম যা তার ১০০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যাকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করলো। জম্মু ও কাশ্মীরের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে দেশের ইমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই গ্রামটি জম্মু ও কাশ্মীর ‘ জে অ্যান্ড কে মডেল’ এর অধীনে দ্রুততম গতিতে টিকাদানের লক্ষ্যে নিজের নাম অর্জন করেছে। দেশের করোনা টিকাদান অভিযানে এটি ভারতের সম্পূর্ন জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়ার জন্য একটি দশ-দফা কৌশলের মধ্যে একটি।
এই প্রত্যন্ত গ্রামটি বান্দিপোড়া জেলা সদর থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও ঠিকঠাক রাস্তা না থাকায় ১৮ কিলোমিটার দূরে অবধিই গাড়ি যায়। বাকি পথ হেঁটেই সেই গ্রামে পৌঁছাতে হয়। এই গ্রামটি বেশিরভাগ পরিবারের পেশা হচ্ছে গবাদি পশু চরানো। সেই কারণেই পাহাড়ের উচু জায়গায় বেশিরভাগ স্থানীয়দের বসবাস। তাই এই গ্রামের সমস্ত বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটি মোটেও সহজ ছিল না।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছেন “গ্রামে কোনও ইন্টারনেটের যোগাযোগ নেই। তাই শহরাঞ্চলের লোকেরা যেমনভাবে টিকা দেওয়ার জন্য অনলাইন ভ্যাকসিন স্লট বুক করে এই গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব ছিল না। “
বন্দিপোরার প্রধান মেডিকেল অফিসার বশির আহমেদ খান এই গ্রামের ১০০ শতাংশ টিকা দানের যে লক্ষ্য তা পূরণের সম্পূর্ন কৃতিত্ব দিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যাদের প্রচেষ্টাতে ভ্যাকসিন যোগানে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এই গ্রামে মোট ৩৬২ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।