করোনার জেরে বিধ্বস্ত প্রায় গোটা বিশ্ব। বিশ্বের কাছে করোনার উৎস হিসাবে পরিচিত সেই চীনেই মিলেছিল করোনা ভাইরাসের পেশেন্ট জিরো (Patient Zero)। ২০১৯ সালের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (World Health Organization) কে নতুন এক রোগের কথা জানায়৷ যার নাম নভেল করোনা ভাইরাস। এবারে আবারো এক মারাত্মক ভাইরাসে মৃত্যুর খবর সামনে এলো। তবে এই ভাইরাসটি পূর্ব পরিচিত। নাম মাঙ্কি বি ভাইরাস (Monkey B Virus)। এই ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন চীনের এক ব্যাক্তি। এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে কেননা এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ভয়ানক কারণ এটিতে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ।
গ্লোবাল টাইমস (Global Times)-এর সম্প্রতি এক খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে চিনের বেজিং শহরের এক পশুচিকিৎসক মাঙ্কি বি ভাইরাস (Monkey B Virus) বা বিভি (BV) ভাইরাসে আক্রান্ত। চিনে বিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। সেই পশুচিকিৎসকের ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর পরিবার পরিজন ও ঘনিষ্ঠরা এখনও পর্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে বেজিং নিবাসী ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যাক্তি পেশায় পশুচিকিৎসক। ২০২১ সালের মার্চ মাসের শুরুতে দিকে তিনি দুটি মৃত বানরের অস্ত্রপাচার করেছিলেন। তিনি Non-Human Primates বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতেন। এর একমাসের পর থেকেই ওই পশু চিকিৎসকের মধ্যে বমি বমি ভাব দেখা যায় ও দিনে কয়েকবার বমিও হতে শুরু করে। জানা যাচ্ছে পশুচিকিৎসক ওই ব্যাক্তি নিজের চিকিৎসার কারণে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত ২৭ মে তিনি মারা যান। চিনের কেন্দ্রীর রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের প্রতিষ্ঠান সিডিসি বা Chinese Center for Disease Control and Prevention শনিবার এই বিষয়ে বিবৃতি দেয়।
ওপর দিকে নাইজেরিয়া ফেরত এক মার্কিন নাগরিকের শরীরেও পাওয়া গিয়েছে মাঙ্কিপক্স এর ভাইরাস। আপাতত তাঁকে ডালাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে মাঙ্কিপক্স এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্বেগের কারণ নয়। ২০০৩ সালে শেষবারের মতো আমেরিকায় মাঙ্কিপক্স এর খোঁজ মিলেছিল । ওই সময় ৪৭ জন এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।