বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ে ঠিক হয়েছিল দুটি ছেলে মেয়ের মধ্যে। কিন্তু ছেলেটির আচরণ ঠিক নয় সেই সম্পর্কে জানতে পেরে মেয়ে পক্ষ বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের মায়ের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠায় বর। বিয়ে না করলে মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দেন ওই যুবক বলে অভিযোগ। এখন মেয়েটির মা স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে বিহারের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পরে মেয়ের পক্ষ এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ নেন ওই যুবক। তথ্য অনুযায়ী, বাগাহা নগর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে উত্তরপ্রদেশের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়। ২-৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর মেয়েটির পরিবার ছেলের অবস্থা ও আচরণ দেখে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হন ওই যুবক। ওই যুবক মেয়েটির মায়ের মোবাইলে মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেয়, মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে না দিলে ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মেয়েটির মা নিজে গিয়ে মহিলা থানায় এফআইআর করেছেন এবং যুবকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে মেয়েটির মা বলেন, তার মেয়ের বিয়ের জন্য তারই গ্রামের সুমিত্রা দেবী তার আত্মীয়ের ছেলের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ রাজি করিয়েছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে ঘুগলি থানা এলাকার নারায়ণপুরের বাসিন্দা রমেশ চৌধুরীর ছেলে চন্দেশ্বর চৌধুরীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের কথাবার্তা চলাকালীন সুমিত্রা দেবী ওই যুবককে মেয়েটির মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন, যার জেরে দুজনের মধ্যে কথা বলা শুরু হয়। চন্দেশ্বর ওই তরুণীকে বুঝিয়ে বাঝিয়ে অনলাইনে ভিডিও চ্যাট করেন বলে অভিযোগ। এদিকে, মেয়েটির মা জানতে পারেন যে চন্দেশ্বর চৌধুরীর আচরণ ভাল নয়, তাই তারা তার সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।
এরপর ওই যুবক ক্ষোভে মেয়ের মায়ের মোবাইলে তার মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠাতে থাকে যে, বিয়ে না করলে তা ভাইরাল করে বদনাম করা হবে। এমনকি গত ১৯ শে এপ্রিল চন্দেশ্বর চৌধুরী, রমেশ চৌধুরী, ধীরেন্দ্র চৌধুরী এরা সুমিত্রা দেবীর বাড়িতে আসেন এবং মেয়েটিকে জোর করে ডেকে নিয়ে বাঘা বাজারে নিয়ে এসে একটি ভিডিও দেখিয়ে তাকে হুমকি দেন যে, তিনি যদি মোবাইলে কথা না বলেন তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। এই ঘটনায় মহিলা থানার ধর্মবীর কুমার ভারতী বলেছেন যে চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে।