দিনের বেশিরভাগ সময় ফোন নিয়েই থাকে মেয়ে৷ ফোন ঘাঁটতে থাকে প্রায় সবে সময়। তার সব থেকে বড় দোষ এটাই৷ আর এই অপরাধের শাস্তি দিলো সেই বছর ১৫ এর মেয়ের বাবা নিজেই, বারংবার ধর্ষণ করে শাস্তি দিলো নিজের মেয়েকে৷ শুনে খারাপ লাগলেও এই রকম ভয়ানক কান্ড ঘটেছে বিশাখাপত্তনমে৷ বছর ৪২এর ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে মেয়ে অনেকক্ষণ ধরে ঘাঁটাঘাঁটি করুক, তা অভিযুক্তের পছন্দ ছিল না৷ কয়েক মাস ধরে টানা সেই রাগেই মেয়েকে সে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ৷ শারীরিক এবং মানসিক এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের শিক্ষিকাকে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী৷
এর পর স্কুলে ডেকে পাঠান ওই শিক্ষিকা ছাত্রীর অভিযুক্ত বাবাকে৷ তখন ক্ষমাও চেয়ে নেয় অভিযুক্ত৷ এরপর ওই শিক্ষিকাকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ছাত্রী৷ ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে দু’ বছর আগে কিডনি বিকল হয়ে৷ তখন তাকে একটি কিডনি দান করে তার স্ত্রী৷
ওই ছাত্রীর মা পাঁচ মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি এর পর থেকে৷ আর বাড়িতে ওই ছাত্রী নিজের বাবার দেখাশোনা করত৷
কিন্তু মেয়ের মোবাইল আসক্তি বাবার পছন্দ ছিল না৷ আর নিজের মেয়েকে শেষ কয়েক মাস ধরে সেই রাগেই ধর্ষণ করে গিয়েছে অভিযুক্ত৷