মদের নেশা খুব খারাপ এক নেশা, যার কারণে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। নেশা করে অপরাধের সংখ্যা দেখতে গেলে অবাক হয়ে যাবেন। বেশিরভাগ অপরাধের কারণ এই মদের নেশা। যতদিন যাচ্ছিলো মদের নেশায় চুর হয়ে থাকা ছেলের অত্যাচার যেন ততই বাড়ছিল। একটা সময় সহ্যর সীমা সবারই পার করে যায়, ঠিক তেমনই আর সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে তার নিজের বাবা দম বন্ধ করে খুন করলো। রবিবার দিন বেশ রাতের দিকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ১ নং ব্লক তপসীখাতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্রের খবর , বাবার হাতে মৃত ওই যুবকের নাম মিঠুন দাস। পচিশ বছর বয়সী ওই যুবক। ওই যুবককে খুনের দায়ে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ তাঁর বাবা পরেশ দাশকে গ্রেপ্তার করেছে। পরেশ বাবু তপসীখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরঘড়িয়া ৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে যে, প্রায়ই মদের নেশায় চুর হয়ে থাকতো মিঠুন। এখানেই শেষ নয়, মদ খেয়ে এসে চূড়ান্ত অশান্তি করতেন মিঠুন তার বাড়িতে। বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর অত্যন্ত অত্যাচার চালাতেন। কোনও কারণ ছাড়াই তাদের উপর অত্যাচার চালাতো মিঠুন। মদ্যপ অবস্থায় এরকম অত্যাচার চালাতেন মিঠুন।
জানা গিয়েছে বহুবার পরিবারের সদস্যরা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অনেকবার ওই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে সালিসিসভা বসিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে আরও বেশিই অত্যাচার শুরু করেছিল মিঠুন। আর তাই সহ্য করতে না পেরে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেন বছর ৫ এর পরেশ দাস। তিনি সবার প্রথমে ছেলের হাত ও পা বেঁধে দেন। তারপর স্বাসরোধ করে খুন করে দেন ছেলেকে।
খবর পেয়েই আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসপাতালে মিঠুন দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত পরেশ দাসকে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে ধৃতকে রাখা হয়েছে বলেই খবর। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ঘটনা জানাজানি হতেই। পুলিশ আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে এই রিপোর্ট এলেই বলে জানিয়েছে তারা।