সামান্য কিছু টাকার ধার হোক বা রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো, মানুষ এখন সামান্য সামান্য বিষয় নিয়ে খুন-খারাবি করতে প্রস্তুত হয়ে যায়। সমাজ এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে অতি তুচ্ছ বিষয়েও কাউকে মেরে দিতে কারো হাত কাঁপে না। বিভিন্ন কারণে খুনের ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যে সত্যিই অবাক করে দেয়।
সকালের খাবার সময় মতো না দেওয়ায় পুত্রবধূকে গুলি করে খুন করলেন শ্বশুর। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের থানের (Maharastra Thane) যেখানে সকালের জল খাবার দিতে দেরি করায় ক্ষুব্ধ শ্বশুর তার পুত্রবধূকে গুলি করে হত্যা করেছে। শুক্রবার পুলিশ এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম কাশীনাথ পান্ডুরং পাটিল। বয়স ৭৬ বছর। ওই ব্যাক্তির আরেক পুত্রবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এ ব্যাপারে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাবদি এলাকার বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী এক মহিলার পেটে গুলি লেগেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটার একদিন পর শুক্রবার সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়।
রাবদি থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর সন্তোষ ঘটকারের জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত কাশীনাথ পান্ডুরং পাটিল এর বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) ধারার অধীনে একটি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন নির্যাতিতার মৃত্যুর পর এই ঘটনায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তের আরেক পুত্রবধূ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নিহত ওই পুত্রবধূ চা-সহ জলখাবার দিতে দেরি করলে শ্বশুর রেগে যান। বৃদ্ধ, একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। এই নিয়ে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে যান যে একটি রিভলভার বের করে তার পুত্রবধূকে গুলি করে দেন। আরেক পুত্রবধূ জানান ঘটনার পরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
ইন্সপেক্টর সন্তোষ ঘাটেকার বলেছেন যে গুলি করার পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। নিহতের বাপের বাড়ির পরিবারের সদস্যদেরও ঘটনাটি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে পুলিশের অনেকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার আসামি গ্রেফতার হয়নি।