উত্তরপ্রদেশের কনৌজে ৪ বছরের এক শিশু হত্যার ঘটনার রহস্য ফাঁস করল পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছেলেকে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে হত্যা করে লাশ কুয়ায় ফেলে দেয় আসামি। পুলিশ খুনি বাবাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। নিজের সন্তানের প্রতি বাবার এই নিষ্ঠুরতায় সবাই স্তম্ভিত।
পুলিশ জানিয়েছে, দুদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্তের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় তিনি তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বোনের স্বামীকে ফাঁসতে চেয়েছিলেন। এই মামলাটি গুরসাহাইগঞ্জ কোতোয়ালি এলাকার সৌনসারাপুরের। শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর ২৩শে সেপ্টেম্বর অভিযুক্তের স্ত্রী শামা পারভীন বাদী হয়ে শিশু অপহরণের মামলা করেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ জান মোহাম্মদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার অপরাধ আড়াল করার জন্য তিনি পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকেন এবং স্ত্রীর বোনের স্বামীর উপর শিশু অপহরণের অভিযোগ আনতে থাকেন।
এ সময় পুলিশ জানতে পারে টাকা নিয়ে তার ও তার ভাইরা ভাইয়ের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে কঠোরতা দেখালে অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করে। এছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে স্ত্রীর জামাই বাবুর সম্পর্ক নিয়ে মনের ভেতরে সন্দেহ ছিল তার।
খুনের আসামি জান মোহাম্মদ পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে তার ছেলে আলফাইজ তার কাছে বিস্কুট চায়। বিস্কুট খাওয়ার পর শিশুটি ঘুমিয়ে পড়ে এবং রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে সে ছেলের মুখটা বালিশে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে রাখে।
মৃত্যুর পর রাতে গ্রামের পাশের কুয়ায় শিশুর লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে আসেন। এরপর সারারাত জেগে থাকলে তার মনে অদ্ভুত চিন্তা আসতে থাকে। একই সঙ্গে নিরাপরাধ আলফাইজের ময়নাতদন্তে শ্বাসরুদ্ধকর মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বালিশ ও চাদর উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত বাবা জান মোহাম্মদকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার পর পরিবারে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরাও অবাক।