ছেলের পর্নোগ্রাফি ঘিরে যত সংগ্রহ ফেলে দিয়েছেন বাবা। নিজের তিলে তিলে গড়ে তোলা নীল ছবির সামগ্রী ভান্ডার খুজে না পেয়েই বেজায় খাপ্পা হয়ে আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন ছেলে। আর শুধু তাই নয় সেই মামলায় জিতেও যায় ছেলে। শাস্তি স্বরূপ গুনতে হবে মোটা অংকের জরিমানা। ৩০ হাজার ৪৪১ আমেরিকান ডলার তার মা বাবার থেকে পেতে চলেছে মামলা জয়ী ছেলে ডেভিড রেকিং। সেই টাকা দিতে হবে তার অভিভাবককে। এই রায় দিলেন আমেরিকার মিশিগানের এক আদালতের বিচারক।
মামলা দায়ের করা ডেভিড রেকিং এর বয়স ৪৩। তার এক বছর আগে নিজের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পর ডেভিড কিছুদিন তার বাবা মার সাথে ছিলেন। এরপরে তিনি সিদ্ধান্ত নেয় শিফ্ট করার। ইন্ডিয়ানাতে শিফ্ট করার পর নিজের সমস্ত সামগ্রী খুজেঁ দেখতে গিয়ে বোঝেন যে তাঁর ব্লু ফিল্ম এবং অ্যাডাল্ট ম্যাগাজিন, পোস্টার ইত্যাদি নানা সংগ্রহের জিনিসগুলি পাচ্ছেন না। এর পরে তাঁর বাবা তাঁকে ই-মেল মারফৎ জানান যে সেই সব পর্ন সামগ্রী তিনি ফেলে দিয়েছেন। এটা শোনার পরই মামলা করেন ডেভিড।
এই মামলায় যে ডেভিড রেকিং যে নিজের বাবা মার বিরুদ্ধে জিতছেন, তা জানা হয়ে গিয়েছিল অনেকদিন প্রায় আট মাস আগেই। মামলাকারী ডেভিড এই মর্মে মামলা করেছেন যে তাঁর সংগ্রহে থাকা পর্নোগ্রাফি ফিল্ম, ম্যাগাজিন, পোস্টার ইত্যাদি অনেক সামগ্রী ছিল। এই সব কিছুর মূল্য মোট ২৯ হাজার ডলার বলে দাবী জানান ডেভিড। পরে মিশিগানের আদালতের নির্দেশে ফেলে দেওয়া জিনিসের তালিকা তৈরি করা হয় একজন বাজার বিশেষজ্ঞ দ্বারা সেগুলির বর্তমান সময়ের দাম কি তা নির্ধারণ করা হয়। সম্পূর্ন শুনানি শেষে আট মাস পর এই মামলার বিচারক পল ম্যালোনি ডেভিডের মা-বাবাকে এই বিচার শেষে নির্দেশ দেন যে তারা যেন নিজের ছেলেকে ৩০ হাজার ৪৪১ ডলার ক্ষতিপূরণ দেন। পাশাপাশি মামলাকারী ডেভিডের আইনজীবীকেও ১৪ হাজার ৫০০ ডলার দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।