মাস্ক না পরার অপরাধে রাস্তা আটকাচ্ছে ভুয়ো পুলিশ! শুধু তাই নয়, জরিমানাও করছে সে। কলকাতার ডাফরিন রোডের ঘটনা। জানা গিয়েছে, মানস সরকার নামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই মাস্কহীন পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন। অভিযোগ, কারও কাছ থেকে ১০০ টাকা তোলা হচ্ছিল, কারও কাছ থেকে আবার ৫০০ টাকা দাবি করা হচ্ছিল। যদিও এর জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছিল না। পথচারীদের তো বটেই, গাড়ি থামিয়েও নাকি চাওয়া হচ্ছিল টাকা!
খাস কলকাতায় পুলিশের বেশে তোলাবাজির অভিযোগ সাউথ ট্রাফিক গার্ডের কাছে পৌঁছনো মাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বিষয়টি ময়দান থানাকে জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়দান থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মানস সরকারকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ময়দান থানাতেই ছিল অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, সে দমদমের বাসিন্দা। মহামারীর পর থেকেই ওই কাণ্ড ঘটাচ্ছিল সে। এর আগে কোনও অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জরিমানা করা নিয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছেন পথচারীরা।
উল্লেখ্য, মাস্ক না পরা কিংবা প্রকাশ্যে থুতু ফেলা মহামারী আইন অনুযায়ী অপরাধ। এর জন্য পুলিশ আটক করতেই পারে। শুক্রবার রাতেও ৩৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল মাস্ক না পরার অপরাধে। ১৮ জনকে পাকড়াও করা হয়েছিল প্রকাশ্যে থুতু ফেলার অপরাধে। তবে মানস সরকার নামের ওই ‘ভুয়ো পুলিশ’ এই আইনকেই হাতিয়ার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব। ওই কাণ্ডে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। তার বিরুদ্ধে বেআইনি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালানোর অভিযোগ ছিল। অ্যামিকেসিনের ভায়ালের উপর কোভিশিল্ড লিখে তা বিতরণ করছিল সে।