বিদেশি মেয়ের সাথে ডেটিংয়ের সুযোগ। তাও এখানে নয়, বিদেশের ট্রিপে। প্রলোভন এড়াতে পারেননি ৬৩ বছরের বৃদ্ধ। কিন্তু তার ফল যে এরকম হবে ভাবেননি। যখন বুঝতে পারলেন তখন কপাল চাপড়াতে বাকি রাখলেন শুধু। জানুন পুরো বিষয়টা।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। বন্ধুত্ব হোক কি প্রেম, অনলাইন প্লাটফর্মেই তা খুঁজে নিতেই স্বচ্ছন্দ সকলে। এমন সময় সঠিক ডেটিং সাইট এর পাশাপাশি এমন কিছু পরিষেবা আছে যেগুলো আদতে ফাঁদ ছাড়া কিছু না। বিনামূল্যের ডেটিং পরিষেবা এবং বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা ইত্যাদি সুযোগ সুবিধার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে একজন ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তি একটি ডেটিং সাইটের সদস্য হতে গিয়ে খুইয়েছেন মোট ২১ লাখ টাকা। চন্ডিগড় নিবাসী ব্যক্তির নাম অরুণ কুমার।
তার অভিযোগে, অরুণ কুমার বলেছেন যে ২০১৯ সালের জুন মাসে, তিনি একজন অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার কাছ থেকে একটি কল পেয়েছিলেন, যিনি নিজেকে নেহা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং তাকে একটি বিনামূল্যে ডেটিং পরিষেবা অফার করেছিলেন যার জন্য প্রাথমিক শর্তই ছিল তাদের সদস্য হওয়া।
কয়েকদিন পরে তিনি আরেকটি কল পেয়েছিলেন এবং তাকে ১০৩০ টাকার বিনিময়ে সদস্য পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যার সাথে তার ডেটের ব্যাবস্থা করা হয়েছে সেই মহিলাই ডেট এর সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে। তাকে বছরে ২-৩টি বিদেশ সফরের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে প্রলুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তি রাজি হন এবং অর্থ প্রদান করেন।
এরপরে তার কাছে এই বলে কল আসে যে তার ডেট সঙ্গিনী নির্বাচন করা হয়ে গেছে এবং তাকে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর তাকে ফোন করে জানানো হয়, সন্ধ্যাকালীন একটি ডেটের সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে। তার বাড়ি থেকে দূরে একটি অবস্থানে ডেটের জায়গা বেছে নেওয়ার পরে, তাকে ৩২,৫০০ টাকা ফেরতযোগ্য ডিপোজিট দিতে বলা হয়েছিল, এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে তার ডেটও একই পরিমাণ অর্থ জমা রাখছে৷
এই সবে শুরু। এরপর থেকে কখনো তাকে সরকারের রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে আবার কখনো প্রোফাইল ডিলিট করতে গেলে টাকা লাগবে ইত্যাদি নানা ভয়, প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২১ লাখ টাকা। এতগুলো টাকা খোয়ানোর পর অবশেষে বোধোদয় হয় বৃদ্ধের। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 420 (প্রতারণা) এবং 120B (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে চন্ডিগড়ের সেক্টর 39 থানায়।