বিহারের মাধেপুরা জেলা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে সন্তান লাভ হবেই এই গ্যারান্টি দেওয়া বাবা এক নারীর উপর ধর্ষণের ঘটনা ঘটালেন। সাধুবাবা সেজে ওই ব্যাক্তি এমন মহিলাদের খোঁজ করতেন যাদের সন্তান নেই। তারপর তাদের তন্ত্র-মন্ত্রের নামে বন্ধ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। যদি কোন মহিলা তার স্বামীর সাথে আসতেন তবে তিনি তাকে ঘরের বাইরে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিতেন। বলতেন ঘরের ভেতরে তন্ত্র মন্ত্র চলবে। কিন্তু কীভাবে ধর্ষণ করতেন তারপর! পড়ুন পুরো ঘটনাটি।
ঘটনাটি জেলার আলমনগর থানা এলাকার ভাগিপুর গ্রামের। চিল্কা বাবার এহেন কাজের শিকার পূর্ণিয়া জেলার এক দম্পতি আলমনগর থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী দম্পতি জানান, বিয়ের বহু বছর পর তাদের কোনো সন্তান হচ্ছিল না। এই সময় গ্রামের এক মহিলা তাদের চিল্কা বাবা ওরফে কৈলাশ পাসোয়ানের কথা বলেন। মহিলা দম্পতিকে বলেছিলেন যে বাবার ঝাড়ফুঁক করে দেওয়ায় তার দুটি মেয়ে হয়েছে। তারপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তার কথায় বিশ্বাস করে একটানা ভাগিপুরে সেই বাবার কাছে আসতে লাগলো।
নির্যাতিতা মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, কখনো কখনো চিল্কা বাবা তার স্বামীকে বাড়ির বাইরে ঘুমাতে বলত এবং ঝাড়ফুঁক করবেন এই অজুহাতে মহিলাকে ঘরে নিয়ে যেত। এরপর বাবা প্রসাদের নামে তাদের এমন কিছু খাওয়ায় যাতে নেশা হয়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করতেন। নেশাগ্রস্ত হওয়ায় ওই নারী ও তার স্বামী কিছুই বুঝতে পারেননি। কয়েক মাস ধরেই তন্ত্র মন্ত্রের নামে ওই দম্পতিকে নিজের শিকারে পরিণত করছিলেন বাবা।
বুধবার রাতেও বাবা ওই মহিলাকে ফোন করে ডেকে নেন। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও সে একই কাজ করলেও এদিন মহিলার স্বামীর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি উঠে দেখলেন তার হাত-পা বাঁধা। সে কোনমতে হাত-পা খুলে বাবার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল বাবা তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে। এটা দেখে তার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে পৌঁছে স্ত্রীকে বাঁচান তিনি।
এর পর স্বামী শোরগোল শুরু করে। চিল্কা বাবা দম্পতিকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বলা হচ্ছে, চিল্কা বাবা পাঞ্জাবের মহিলাদের সঙ্গেও একই অন্যায় করেছেন। যা নিয়ে অনেক হইচই হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে এসপি রাজেশ কুমার জানান, ভুক্তভোগী দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে আলমনগরে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। শীঘ্রই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করা হবে। বলা হচ্ছে বাবা ইতিমধ্যেই জেলে গিয়েছেন।