যৌন চাহিদা অতিরিক্ত? নিজের কাছেই নিজের যৌন চাহিদা অতিরিক্ত মনে হচ্ছে? অথচ মনকে কিছুতেই সংযত করতে পারছেন না? সব সময় যৌনতা, সেক্স করা, যৌন দৃশ্য অথবা পর্ন মুভিজ দেখার ইচ্ছা জাগছে? নিমফোম্যানিয়া-য় আক্রান্ত নন তো আপনি? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
কখনই স্বাভাবিক নয় অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক কামাসক্তি। এটি একটি মানসিক ব্যধি মনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগের নাম এনিমফোম্যানিয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে, পুরুষদের ক্ষেত্রে নাম স্যাটেরিয়াসিস।
নিজেদের অত্যাধিক যৌন চাহিদা পূরণের জন্য অধিকাংশ সময়েই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই রোগে আক্রান্তরা, নানারকম মাদকও সেবন করেন যৌন ক্ষমতা বাড়াতে, অস্বাভাবিক বা বিকৃত যৌন আসক্তি তৈরি হয়।
উপসর্গ কী এনিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস-এর? ঘন ঘন হস্তমৈথুন, একাধিক যৌন সম্পর্ক, একাধিক যৌনসঙ্গী বা শুধুমাত্র যৌন বাসনা চরিতার্থ করতে সামায়িক ভাবে কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, লাগামহীন যৌনতায় মেতে থাকা এগুলোই এর আসল কারণ। পর্নোগ্রাফির প্রতি অস্বাভাবিক আসক্তি দেখা গিয়েছে এনিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস-এ আক্রান্তদের! পাশাপাশি, তাঁদের অস্বাভাবিক আকর্ষণ থাকে অসুরক্ষিত এবং উদ্দাম যৌনজীবনের প্রতিও।
এনিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস-এ আক্রান্তদের মধ্যে সাইবার সেক্স, ফোন সেক্স বা ভিডিও কনফারেন্সে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া, অন্যকে অনাবৃত অবস্থায় দেখার বা যৌনতায় লিপ্ত হতে দেখার ইচ্ছা থাকে। চিকিৎসা কী এনিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিস-এর? চিকিৎসকরা বলছেন– এই মানসিক ব্যধির চিকিৎসা হয় ধ্যান বা যোগের মাধ্যমে। নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসের চিকিত্সা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা ‘রেসিডেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম’, ‘কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি’-র মাধ্যমেও।