আগে যে কোনও অনুষ্ঠান মানেই ছিল কলা পাতায় খাওয়া। এখন একটু বিরল হলেও সাবেক রান্নার কোনও বিশেষ পরিবেশন হলে, নাম জুড়ে যায় কলা পাতার। অবাক করার বিষয় হলো দক্ষিণ ভারতে এখনো প্রচলিত রয়েছে কলা পাতায় খাওয়া।
কলাপাতায় খাওয়া সবচেয়ে লাভজনক ও সস্তা বিকল্পগুলোর একটি। প্রচুর মানুষকে একসঙ্গে খাওয়াতে বাড়তি খরচের বোঝা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। শুধু কলা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা কেটে এনে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাবার সাজালেই হয়ে যায়।
কখনও ভেবে দেখেছেন কি, সাবেক এই রীতির পিছনে কি স্বাস্থ্যসচেতনতা লুকিয়ে আছে? আসুন জেনে নিন কলাপাতায় সম্পর্কে…
১) কলাপাতায় পলিফেনল নামের একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। গ্রিন টি-তেও থাকে এই পলিফেনল। যখন কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হয়, তখন খাবারের সঙ্গে এই পলিফেনল মিশে শরীরে প্রবেশ করে। এই পলিফেনল যুক্ত খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২) কলাপাতায় নিয়মিত খাবার খেলেও ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। কারণ এই পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিককে বের করে দিতে সাহায্য করে।
৩) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসে আশ্চর্য উপকারে আসছে কলাপাতায় খাবার খেলে। শুধু তাই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তস্বল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রস যাদুর মতো কাজ করে। এমনকি লিভারের সমস্যা দূর করে। তবে কলাপাতার রস আলাদা করে বের করে খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। খাবারটি শুধুমাত্র কলাপাতায় খেলেই হবে।
৪) কলাপাতা পরিবেশ বান্ধব। এটি খুব সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তাই পরিবেশ দূষণেরও কোনও আশঙ্কা থাকে না।