জলই জীবন। আর সেই জল পান করেই জীবন হারাতে হলো অনেককে। কর্ণাটকের রায়চুর জেলায় দূষিত পানীয় জলের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই সোমবার এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। সূত্র অনুযায়ী, রায়চুরে দূষিত জল পান করে শিশুসহ বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বাসভরাজ বোমাই বলেন, “রায়চুরে দূষিত জল পান করার কারণে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টিকে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আমি কর্ণাটক জল সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পেছনের কারণগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে বলেছি৷ কেউ কেউ বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনকে দায়ী করছেন। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই এমনটা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বোমাই বলেন, জেলার জেলা প্রশাসককে রায়চুর শহরের সব ওয়ার্ড থেকে জলের নমুনা পরীক্ষা করে পানীয় জলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন “ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ) এর নেতৃত্বে একটি দল প্রযুক্তিগত দিকটির বিষয়ে, এবং কর্মকর্তাদের কোনো ত্রুটির আছে কিনা সেই বিষয়েও একটি পুলিশ তদন্তও পরিচালনা করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। বোমাই চিফ মিনিস্টার ত্রাণ তহবিলের অধীনে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই রাজ্যে কোভিড-১৯-এর ক্রমবর্ধমান কেস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। বোমাই সোমবার বলেছেন যে তিনি রিপোর্টটি দেখার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। রাজ্যে ৩০১ টি নতুন কোভিড সংক্রমনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র বেঙ্গালুরু শহরেই ২৯১ টি করোনা কেস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪১৪ জন।