যুগ যতই এগিয়ে যাক পণপ্রথার মতন ঘৃণ্য প্রথা এখনও এ সমাজে রয়ে গেছে। আর সেই প্রথার কারণে প্রতিদিনই নিপীড়িত অত্যাচারিত হতে হয় বহু নারী ও তার পরিবারকে। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর এলো আসানসোল (Asansol) থেকে যেখানে পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ( Killing Hoisewife for Dowry) অভিযোগ এল। জানা গেছে এই কুকর্মের মূল পান্ডা ওই গৃহবধূর শাশুড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক সংবাদ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ চার জনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিস। শুরু হয়েছে তদন্ত।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের ধেমো মেন এলাকায়। সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে মৃত ওই মহিলার নাম কাঞ্চন ননিয়া। ২০১৫-তে ওই মহিলার বিয়ে হয় গুলাব ননিয়ার ছেলে সুধীর ননিয়ার সঙ্গে। মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির পরিজনদের অভিযোগ বিয়ে হবার পর থেকেই চলত টাকার জন্য অত্যাচার। তাদের মেয়েকে জোর করা হতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য। এর জন্য চলত ভয়ঙ্কর অত্যাচারও। পণ হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকী গত কয়েকদিন ধরেই ব্লেজার কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা জোগাড় করে আনতে স্ত্রীকে সুধীর ননিয়া চাপ দিতে থাকে।
এরপর পুড়িয়ে মারার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক সংবাদ) উত্তেজনা ছড়ায়। বিবাদ চরম মাত্রায় পৌঁছয় বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, তারপরেই গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় শাশুড়ি। স্থানীয় সূত্রের খবর ওই বাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ ভেসে আসে। পাড়া-প্রতিবেশীরা জানতে চাইলে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেন মাংস রান্না হচ্ছে ঘরে।
এই ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ এসএস এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। ইতিমধ্য়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুরু হয়েছে তদন্ত।