উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে এক অভিনব বিয়ে সম্প্রতি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। হামিরপুরের ভাড়ুয়া সুমেরপুরে রবিবার দুই সাধুর কুকুর এবং কুক্কুরীর মধ্যে এই বিয়ে হয়। সাধুরা তাদের পোষা প্রাণীদের বিয়ে দিয়ে একে অপরের বেয়ান হয়ে যান। শোভাযাত্রার সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় হিন্দু রীতি অনুযায়ী। আড়ম্বর সমেত শোভাযাত্রা বের হয়। এমনকি স্থানীয় দ্বারচর, ভবরে, কালেভের আচারও করা হয়।
দেবী মনসার পিতা রূপী শিব মন্দির সৌনখার ও সিমনাউরি গ্রামের উপত্যকায় অবস্থিত। এই মন্দিরের মহন্ত হলেন স্বামী দ্বারকা দাস মহারাজ। তিনি তার পোষা কুকুর কাল্লুর সাথে মৌদহ এলাকার পারচাচ গ্রামের বজরংবালী মন্দিরের মহন্ত স্বামী অর্জুন দাস মহারাজের পোষা মহিলা কুকুর ভূরির বিয়ে ঠিক করেন।
বিয়ের শোভাযাত্রা রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে
বিয়ের দিন ধার্য ছিল ৫ই জুন। নির্ধারিত দিন অনুসারে, দ্বারকা দাস মহারাজ এবং অর্জুন দাস মহারাজ তাদের শিষ্য এবং শুভাকাঙ্খীদের কাছে কার্ড পাঠিয়েছিলেন যেখানে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। শিব মন্দির থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। বর কুকুরের শোভাযাত্রাটি সৌনখার গ্রামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর শোভাযাত্রাটি মওদহ এলাকার পারচাচ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এখানে বজরঙ্গবলী মন্দিরের মহন্ত স্বামী অর্জুন দাস মহারাজ বরযাত্রীদের জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে স্বাগত জানান এবং স্বাগত জানানোর পর দ্বারচর, নৈবেদ্য, ভানওয়ার, কালেভর আচার অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বর সহকারে বিয়ে দিয়ে পোষা কুকুরকে বরযাত্রীর সাথে বিদায় জানান।
কুকুর দুটিকে অলঙ্কারও দেওয়া হয়েছিল:
নতুন জামাকাপড় এবং সোনা-রূপার অলঙ্কারে সজ্জিত ছিল দুই কুকুর। বরযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন খাবার প্রস্তুত করা হয়েছিল। এই অনন্য বিয়ে নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয় ছিল। উভয় পক্ষের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ এই বিয়েতে অংশগ্রহণ করে।
তিলক অনুষ্ঠানও হয়:
কুকুর ও কুক্কুরীর বিয়ের আগে উভয় পক্ষই সকল আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। গত সপ্তাহে তিলক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়, যাতে নগদ ১১ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। ৩রা জুন যখন বিয়ের মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছিল, তখন উভয় পক্ষ থেকে চিকাটের আচারও করা হয়েছিল। আপনি শুনেছেন এমন অনন্য বিয়ের কথা?