করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট এর হানায় পর্যদুস্ত ভারত সহ বহু দেশ। ভারতেই করোনাভাইরাসের এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দ্রুত। কার্যত এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর কারণে ভারত করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা আসে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা স্তিমিত হতেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি নিয়ে। ভারতের কিছু রাজ্যে মিলেওছে এই প্রজাতি। তার মধ্যেই করোনার আরেক নতুন প্রজাতি চিন্তা বাড়িয়েছে। সেই প্রজাতির নাম ল্যাম্বডা।
দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল এই সার্স-কোভ-২-এর নতুন প্রজাতির। সেই পেরু থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের আরও ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি ল্যাম্বডা। ভারতেও কি পৌঁছেছে অতি সংক্রামক এই প্রশ্ন করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট? উঠেছে প্রশ্ন।
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, INSACOG ভারতের করোনা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত খোজ মেলেনি ল্যাম্বডা ভ্যারিয়্যান্ট -এর। নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভি কে পাল জানান, এখনও পর্যন্ত করোনার ল্যাম্বডা ভ্যারিয়্যান্ট ভারতে প্রবেশ করেনি। তবে পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি কায়েম রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৩০টি দেশেই ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে আক্রান্ত করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মালোয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সেই দেশে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট এর খোঁজ মেলার কথা। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন করোনা রোগীর মধ্যে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট – এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পেরুর নিকটবর্তী চিলিতে গত দু’ মাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩২ শতাংশের শরীরেই Lambda ভ্যারিয়েন্ট -এর খোঁজ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরেও পাওয়া গেছে এই নতুন প্রজাতি। সেখান থেকে শুরু করে এখন বিশ্বের মোট ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ল্যাম্বডা প্রজাতি (Lambda Variant)।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেল্টা প্রজাতির (Delta Variant) চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হবে এই ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট। কারও শরীরে এই ল্যাম্বডার ভ্যারিয়েন্ট থাকলে তা অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। এদিকে ল্যাম্বডার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী সে বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে।