বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় একটি ক্লিনিকের বাইরে এক মহিলার পরিবারের সদস্যরা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি করে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওই নারীর কিডনি বের করার অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলার পেটে ব্যাথার নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। সেই সুযোগে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করে দু’টি কিডনিই অপসারণ করে ফেলেন ওই কুয়াকার চিকিৎসক। তবে মহিলাটি স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মুজাফফরপুর জেলার সাকরা থানার বরিয়ারপুর পুলিশ পোস্টের অন্তর্গত বাজিরাউত গ্রামের। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলার কিডনি অপসারণের কথা জানতে পেরে মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মহিলার অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলার আত্মীয়দের একটি মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বলেছে এই মর্মে যে তার দুটি কিডনিই অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিকে পৌঁছে শোরগোল সৃষ্টি করে। যেখান থেকে নিখোঁজ ছিলেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। খবর পেয়ে বরিয়ারপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তথ্য অনুযায়ী, বাজিরাউটের বাসিন্দা লালদেব রামের মেয়ে সুনিতা দেবীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় ৩ আগস্ট। পেটে ব্যথা নিয়ে পরিবার তাকে বারিয়ারপুর এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক পবন কুমার ২০ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।
ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা জানান, চিকিৎসক তাকে বলেছেন, পেটে ব্যথা বেশি, এজন্য অপারেশন করতে হবে। অভিযোগ, অপারেশনের অজুহাতে ওই মহিলার দুটি কিডনিই কেটে ফেলেন চিকিৎসক। পরিবার বলছে, অবস্থার অবনতি না হলে কিডনি সম্পর্কে কোনো তথ্য তারা পেতো না। ভিকটিম সুনীতার তিন সন্তান রয়েছে, সে তার বাবার বাড়িতে চিকিৎসার জন্য এসেছে।
পুলিশকে মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে হবে
এই ক্ষেত্রে, স্টেশন সভাপতি বলেছেন যে সুনিতা দেবী আবেদন করেছিলেন যে তার গল ব্লাডারে সমস্যা রয়েছে। তিনি একজন প্রতারক ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানে তার কিডনি অপসারণ করা হয় বলে অভিযোগ। ভিকটিম কথা বলছে। মেডিকেল রিপোর্টে দেখতে হবে কিডনি অপসারণ করা হয়েছে কি না। ডাক্তারের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।