অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার সাধারণ বছরের তুলনায় একটি বিশেষ বছর বলে বিবেচিত হয়। এই বছর গুলিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় একটি দিন গুনতি বেশি করা হয়। এর মানে ৩৬৫ দিনের জায়গায় বছরের দিন সংখ্যা ৩৬৬ হয়। প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর আসে এই লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। ২০১৬ সালের পর লিপ ইয়ার গিয়েছিল গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এবং পরবর্তী লিপ ইয়ার আসবে ২০২৪ সালে। আসলে আমরা এক বছর গণনা করি ৩৬৫ দিনে, কিন্তু সূর্যকে একবার সম্পূর্ন রূপে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিনের কিছুটা বেশি। সঠিক ভাবে হিসাব করলে যা দাড়ায় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। আমরা প্রতি বছরের সময়ে যে এই কয়েক ঘণ্টা ঘাটতি রেখে দি সেটা পোষাতে ৪ বছর পরপর ক্যালেন্ডারে আরও একটি দিন যোগ করা হয়। আর সেই হিসাবে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দিন অধিক যোগ করে বছরটিকে বিশেষ করে তোলা হয়। কিন্তু এই অধীবর্ষ বা লিপ ইয়ার নিয়ে নানা ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে। রয়েছে নানা মজাদার তথ্যও, দেখে নিন সেগুলি –
১) ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ার যোগ করার আইডিয়া প্রথম এসেছিল মিশরীয়দের মাথায়।
২) খ্রিস্টপূর্ব বহু বছর আগে জুলিয়াস সিজার আনুষ্ঠানিকভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখটি রোমান ক্যালেন্ডারে সংযোজন করেছিলেন।
৩) যেসব বাচ্চাদের জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারিতে তাদেরকে লিপার বা লিপ্লিং নামে অভিহিত করা হয়। এই সব শিশুদের জন্মদিনের দিনটি ৪ পর পর আসে তাই এদের জন্মদিন বাকি বছরের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ পালন করা হয়
৪) ১৯১২ সালে লিপ ইয়ারের দিনেই টাইটানিক জাহাজ অতলান্তিক মহাসাগরে ডুবে গিয়েছিল।
৫) ১৯৭২ সালে বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন লিপ ইয়ারের দিনেই বিদ্যুতের আবিষ্কার করেছিল।
৬) প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যদি ২৯শে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ কোন লিপ ইয়ারের লিপ ডে যদি শুক্রবার পরে, তাহলে ওইদিন নাকি আবহাওয়ারও পরিবর্তন হয়।
৭) গ্রীসে কোনো হবু স্বামী স্ত্রী লিপ ইয়ারে বিয়ে করেন না। তাদের প্রচলিত বিশ্বাস যে, লিপ ইয়ারে বিয়ে করলে তাদের বিবাহিত জীবনে নেমে আসবে দুর্ভাগ্য।
৮) লিপ ইয়ার সম্পর্কে আরেকটি বেশ বিশ্বাস হল, অনেকেই বিশ্বাস করেন লিপ ইয়ারে জন্মায় যেসমস্ত বাচ্চা তাদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা থাকে।