হিন্দু শাস্ত্রীনুযায়ী সে মানুষের কোনও রকম বাধা বিপত্তি আসবেনা যিনি নিয়মিত গজাননের স্তোত্র পাঠ করেন। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী , শিব-পার্বতী পুত্র মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই। এদেশেই শুধু না সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন নাম তাঁর। বুধবার সিদ্ধিদাতা গণেশের দিন মনে করা হয়। গণেশ সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে হিন্দু সম্পদ্রায়ে পূজিত হন। এই গনপতি মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা। মনে করা হয় কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনের যাবতীয় বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে ওঠা যায় সহজেই এই দিনে। পাশাপাশি সংসারে সুখ সমৃদ্ধিও বজায় থাকে।
যে কোনও কাজ সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করলেই সম্পন্ন হয় সঠিকভাবে। এই জন্যই গণেশ পুজো করা হয় সকল পুজোর আগে। শিব ও উমা সন্তুষ্ট হন সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করলেই। ফলে সকল বাধা কেটে যায় জীবনের। এই জন্য শুধু এই নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।
গণেশ পুজো করুন প্রতি বুধবারে বেলপাতা দিয়ে। সকল স্বপ্ন পূরণ হবে জীবনের।
প্রতি বুধবারে ১১টি অর্জুণ পাতা দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করুন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে। আপনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারেন।
প্রতি বুধবারে গণেশ ঠাকুর-কে নিবেদন করুন ওক পাতা আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে। এই পাতা মনে করা হয় গণেশের অত্যন্ত প্রিয়। গণেশ-কে এই পাতা বুধবারে নিবেদন করলে, সংসার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে সমস্ত আর্থিক বাধা কেটে গিয়ে।
শাস্ত্র মতে, ১১টি অর্জুণ পাতা দিয়ে বুধবারে গণেশ পুজো করলে ঘরে শুভ শক্তির আগমন ঘটে। ফলে সংসার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে প্রতি বুধবারে গণেশ-কে বেল পাতা নিবেদন করে পুজো করুন। আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন খুব শীঘ্রই।
এই নিয়মগুলি জীবনের সকল বাধা কাটিয়ে উঠতে প্রতি বুধবারে মেনে চলুন, আর সমৃদ্ধিতে জীবন ভরে তুলুন।