আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন আর্থিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা অথবা বাসগৃহে যে কোনও রূপ সমস্যার কারণ কিছুটা হলেও সৃষ্টি হয় বাস্তুদোষ থেকে। যে কোনও জটিল পরিস্থিতি থেকে সহজে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয় না। অনেক সময় নানা চেষ্টার পরেও কোনও রকম সমাধান মেলে না। এই রকম সময়ে বাস্তুদোষ কাটিয়ে উঠতে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করতে হবে। যা বাস্তু তথা নানা বিপদের হাত থেকে মুক্তি দেবে।
কোন উপায়ে বাস্তুদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে—
নিমপাতার ধোঁয়া
বাসগৃহে সন্ধ্যাবেলা যদি ধুনোর সঙ্গে নিমপাতার ধোঁয়া দেওয়া যায় তা হলে বাস্তুদোষ অনেকাংশে কমতে দেখা যায়। বাস্তুবিদদের মতে, নিমের ধোঁয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। বাস্তুদোষ নির্মূল করার সঙ্গে সঙ্গে পারিবারের সুখশান্তি বজায় থাকে এবং পরিবারের সকলের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সপ্তাহে দু’দিন এই ক্রিয়াটি করতে পারেন।
শাস্ত্র বলে সন্ধ্যায় রজ-তম শক্তি পরিবেশে প্রবল থাকে, এই সব কাজের মাধ্যমে রজ-তম শক্তি আমাদের শরীরকে আকর্ষণ করে শরীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তাই সন্ধ্যার পুর্বেই ঘর পরিষ্কার করা উচিত।
সন্ধ্যাবেলায় তুলসী গাছের কাছে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালতেই হবে।সন্ধ্যা বাতি দেওয়ার পর আর তুলসী গাছ স্পর্শ করা যাবে না। সন্ধ্যা নামার পর তুলসী পাতা তোলা যাবে না। এতে গৃহের অকল্যাণ হয়।
প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির চারিদিকে ধুনোর ধোয়া দিন। একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে একথার উল্লেখ পাওয়া যায় যে নিয়মিত সন্ধা পুজোর পর যদি সারা বাড়িতে ধুনো দেওয়া যায়, তাহলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা যায় কমে। এমনটা নিয়মিত করলেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে।