আমাদের দেশে নানা ধরনের ঢাকঢাক গুড়গুড় রয়েছে সেক্স বা যৌনতা নিয়ে। এমনকী নানা ট্যাবুও রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এবং সার্বজনীন একটি সাধারণ বিষয় কিন্তু যৌনতাই। তবে তা সার্বজনীন হলেও নানা ধরনের নিয়ম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষজন তাঁদের পারস্পরিক পরিমণ্ডল অনুযায়ী গড়ে নিয়েছেন। কারও নানা ভিন্ন ধরনের রীতি রয়েছে। সেই সব নিয়ম হয়ত অন্যদের চোখে আজব ঠেকতে পারে, কিন্তু সেই সব দেশে বাসিন্দারা নিজের নিজের নিয়মে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। সারা জীবন যৌনমিলন থেকে কেউ হয়ত দূরে থাকেন, বগলে আপেল নিয়ে ঘোরেন কেউ বা যৌনতার প্রতীক হিসেবে, কেউ আবার জীবনসঙ্গী বেছে নেন বড় সাইজের মাছ দিয়ে, আবার কোন দেশের বাসিন্দারা যৌনাঙ্গেরও দেন আলাদা নাম!
পৃথিবীর সব প্রান্তেই প্রচার করা হয় কন্ডোম ব্যবহারের কথা। কিন্তু এমন জায়গাও রয়েছে, যেখানে সেক্স অবৈধ কন্ডোম ছাড়া। কোথাও আবার গাড়ির মধ্যে সেক্স করা র সময়ে ভুল করে যদি বেজে যায় হর্ন, তবে ধরে নিয়ে চলে যাবে পুলিশ। এমনই এই পৃথিবীতে নানা সব অদ্ভূত যৌন সম্বন্ধীয় বিষয় রয়েছে। আসুন আজ আপনাদের তেমনই পাঁচটি নিয়ম-রীতির কথা শোনাই।
যৌনাঙ্গেরও থাকে আলাদা নাম!
নাম তো নিশ্চয় শুনেছেন হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের? এখানকার বাসিন্দারা যৌনজীবনে এক নতুন নিয়ম মেনে চলেন জানেন কি। কী নিয়ম? যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা গোপন অঙ্গের উপাসনা করেন তাদের এবং প্রত্যেকেই গোপনাঙ্গের আলাদা একটি করে নাম রাখেন। কিন্তু থেমে থাকেননি তারা সেখানেই। আদিবাসীদের রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ লোক, সকলেরই যৌনাঙ্গ নিয়ে একটি গোপন মন্ত্র থাকে। এসব মন্ত্রে বেশ নিজেদের গোপন অঙ্গের বিবরণ দেন তাঁরা খোলামেলা কাব্যিক ভাষায়। পিছিয়ে নেই মহিলারাও, তাঁরাও পালটা নিজেদের যৌনাঙ্গের বর্ণনাও দেন কাব্যিক ঢঙে সেই সব গোপন মন্ত্র শুনে।
সেক্সে হ্যাঁ, সন্তানে না!
করোনা নিয়ে বিশ্বের বাকি দেশগুলির তুলনায় সাফল্য নজরকাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার। কিন্তু জানেন কি, গড়ে ১.০৫টি সন্তান হয় দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের। সে দেশের সরকার কিন্তু দেশের জনসংখ্যায় ভারসাম্য রাখতে প্রতিটি নারীর দুটি সন্তান প্রসব করা জরুরি বলে মনে করে। কিন্তু দেশটির জীবনধারনের খরচ, সন্তান পালনের ব্যয়বাহুল্য এবং দীর্ঘ কাজের সময়ের কারণে সন্তান নিতে চান না বেশিরভাগ চাকরিজীবী নারীরাই। দক্ষিণ কোরিয়ান মেয়েদের কাছে সন্তানের জীবনের অগ্রাধিকার পাওয়া বিষয়গুলির মধ্যে মা হওয়াটা নেই। সরকার থেমে নেই অবশ্য, নারীদের সন্তান নিতে উৎসাহ দিতেসে দেশের সরকার কোটি-কোটি টাকা খরচ করে । কিন্তু তাতেও নারীরা আগ্রহী নয়। ফলে জন্মহার বাড়ছে না সেখানে চেষ্টা করেও।