করোনা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কিছুদিন আগেই করোনার ডেল্টা (Delta) প্রজাতি কাঁপন ধরিয়েছিল ভারত সহ গোটা বিশ্বের বুকে। ডেল্টার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে এসেছে ওমিক্রন (Omicron) ভাইরাস। দক্ষিন আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসের ভেতরের স্পাইক প্রোটিনে (Spike Protein) পরিবর্তন ঘটিয়ে হয়ে উঠেছে মারত্মক এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
করোনার সাধারণ উপসর্গ থেকে এই ওমিক্রনের উপসর্গ এর রয়েছে অনেকটাই পার্থক্য। এই ওমিক্রন কে বলা হয় ‘কনসার্ন অব ভ্যারিয়েন্ট’।
ওমিক্রন কে কেন বলা হচ্ছে ‘কনসার্ন অব ভ্যারিয়েন্ট’:
বি.১.১.৫২৯ বা ওমিক্রনকে ‘কনসার্ন অব ভ্যারিয়েন্ট’ হিসাবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তার কারণ, বহুবার মিউটেশনের কারণে ওমিক্রন আগের ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে বলে আশঙ্কা হু-র গবেষকদের। আফ্রিকায় ওমিক্রমনের সংক্রমণ নিয়ে এখনো অবধি যে তথ্য পাওয়া যায়, তা অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। সারা পৃথিবীতে দাপট দেখাতে পারে ওমিক্রন এমনটা আশঙ্কা করা হয়েছে। পাশাপাশি, আর একটি ব্যাপার হচ্ছে উল্লেখযোগ্য, করোনার যে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় ওমিক্রনের ঠিক তেমন উপসর্গ পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে না। এর ফলে ওমিক্রনের বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
ওমিক্রন ও ডেল্টার মধ্যে পার্থক্য কী:
ওমিক্রন ভাইরাসটিতে অতিরিক্ত মাত্রায় মিউটেশন (Mutation) হয়েছে। ডেল্টার থেকেও এই প্রজাতিতে বেশী মিউটেশন হয়েছে। যেখানে ডেল্টা প্রজাতিতে ১৮ বার মিউটেশন হয়েছিল, সেখানে ওমিক্রনে হয়েছে ৩০ বারেরও বেশি মিউটেশন। এই মিউটেশন এর কারণেই টিকার মাধ্যমে যে অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরী হচ্ছে সেটা যে কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিজ্ঞানীরা। আর টিকা যদি কার্যকরী না হয় তাহলে সংক্রমণ আরো বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এসবই এখনও প্রাথমিক গবেষণার পর্যায়ে। টিকা কতোটা কাজ করবে সেই বিষয়ে জানতে আরও সময় লাগবে।
তাই চিকিৎসকদের কথায়, সংক্রমণ নিয়মিত হাত ধুয়ে নিন। ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। মাস্ক পড়ুন অবশ্যই। মাস্ক না পরলে ওমিক্রনের মতো এত সংক্রামক ভাইরাসের থেকে বাঁচা যাবে না। আর অবশ্যই দরকার ছাড়া বাইরে বেরোবেন না।