সময় যত এগোচ্ছে, ততই চেহারা পালটে নয়া অবতারে হানা দিচ্ছে করোনাভাইরাস। একুশ সালের শেষের পথেও করোনা কাঁটা থেকে রেহাই নেই!ফের ভোলবদলে নয়া রূপে হাজির Covid 19। এই মুহূর্তে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনকে ঘিরে উদ্বেগের পারদ ক্রমশ চড়ছে বিশ্বজুড়ে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই কার্যত করোনার এই নয়া স্ট্রেনের ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্রতিবেদন ঘিরে নেটদুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেই দাবি করছেন যে, ওমিক্রনের ব্যাপারে নাকি গত জুলাই মাসেই সব তথ্যাদি পেয়েছিল World Economic Forum। অথচ, গত ২৬ নভেম্বর WHO করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের হদিশের কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছে। আর এ নিয়েই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। তাহলে কি জুলাই মাস থেকেই হানা দিয়েছে করোনার এই নয়া প্রজাতি?
কী দাবি?
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন Omicron-এর প্রথম হদিশ মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ২৪ নভেম্বর এই নয়া প্রজাতির হদিশ পায় বলে জানায় WHO। এদিকে, করোনার একই ভেরিয়্যান্টের বিষয়ে নাকি গত জুলাই মাসে প্রতিবেদন প্রকাশ করে WEF। আর এ নিয়েই শোরগোল পড়েছে। তাহলে কি জুলাই মাসেই করোনার এই নয়া প্রজাতির অস্তিত্বের ব্যাপারে জানা গিয়েছিল? তা হলে এতদিন পর কেন WHO ওমিক্রনের বিষয়ে জানাল- এ নিয়েই চলছে জোর চর্চা।
আসল সত্যটি ঠিক কী?
টুইটারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ওই প্রতিবেদনটির লিঙ্ক শেয়ার করে যে টুইটগুলি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে, সেটি আসলে প্রকাশিত হয়েছে গত জুলাই মাসে। কিন্তু, গত ২৬ নভেম্বর ওই প্রতিবেদনটি আপডেট করা হয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওই প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করে বলা হয় যে, প্রতিবেদনটি চলতি বছরের ১২ জুলাই প্রকাশিত হয়। করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে প্রতিবেদনটি গত ২৬ নভেম্বর আপডেট করা হয়। কিন্তু, ওমিক্রন নিয়ে আপেডেটেড প্রতিবেদনটির প্রকাশের তারিখ ১২ জুলাই হিসেবেই দেখায়, আর এখানেই গোলমাল বাধে।