হিন্দি সিনেমায় ‘হি ম্যান’ নামে পরিচিত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ৭০ থেকে ৮০ এর দশকের মধ্যে বহু সুপার হিট হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যার কারণে তার ইমেজ মানুষের মধ্যে অ্যাকশন হিরোর হয়ে ওঠে। নিঃসন্দেহে ধর্মেন্দ্র হিন্দি সিনেমার অন্যতম বড় একজন স্টার। ধর্মেন্দ্র ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় তার কেরিয়ার শুরু করলেও মীনাকুমারীর সঙ্গে ‘ফুল অর পাথর সে’ ছবির মাধ্যমে প্রথম বলিউডে তার কাঙ্খিত সাফল্য পান। ধর্মেন্দ্র, যিনি ৬০ এর দশক থেকে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন, তিনি ৯০ এর দশক আসতে আস্তে সুপারস্টার হয়েছিলেন।
৯০ এর দশকে, ধর্মেন্দ্র সুপারস্টার তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন। হিন্দি সিনেমায় ততদিনে অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার সিনেমা জীবনে একবার তিনি এমন একটি ভুল করেছিলেন। যার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি ধর্মেন্দ্র। যদিও পরে তার ভুল শুধরে দেন ছেলে সানি দেওল। কিন্তু বিষয়টি তার কাছে না পৌঁছালে ধর্মেন্দ্রর খুব মানহানি হয়ে যেত।
আসলে তখন ধর্মেন্দ্র কান্তি শাহের একটি সিনেমায় কাজ করছিলেন। যা বি গ্রেড চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত। ছবির নাম ছিল ‘আজ কা গুন্ডা’।
একটি দৃশ্যের শুটিং করার সময়, ধর্মেন্দ্র যখন শুটিং এর জন্য অপেক্ষা করছিলেন যখন কান্তি শা সেখানে এসে বললেন, “আপনি আপনার বুকে তেল লাগান এবং ম্যাসাজ করুন কারণ এই মুহূর্তে আপনাকে ঘোড়ায় চড়ার দৃশ্য করতে হবে এবং এতে আপনার বুক নগ্ন হওয়া উচিত। পরিচালক যেমন বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র তেমনই করেছিলেন। মাত্রা তখন পার করে যায় যখন ম্যাসাজের অজুহাতে ধর্মেন্দ্রের খালি গায়ের এবং মুখের কিছু অংশ ক্যামেরায় বন্দী করেন পরিচালক। ধর্মেন্দ্র মনে করেছিলেন যে এটি শুটিংয়ের অংশ মাত্র। কিন্তু পরিচালক চালাকি করে অন্য কিছু করলেন।
কান্তি ধর্মেন্দ্রর খালি শরীর ছেড়ে তার মুখের ক্লোজ আপ শট নিল। কান্তি সেই শটগুলিকে ধর্ষণের দৃশ্যের জন্য ব্যবহার করেছিল। কান্তি ধর্মেন্দ্রর বডি ডবল নেন এবং ধর্মেন্দ্রর মুখ তার মুখে প্রতিস্থাপন করেন এবং ভয়ঙ্কর ধর্ষণের দৃশ্যগুলি করেন। ধর্মেন্দ্র সে সময় এসব সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি।
কিন্তু এরপর সেটের কিছু লোক ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকে জানিয়েছিল যে তার বাবা একটি অ্যাডাল্ট ফিল্মে কাজ করছেন। এ কথা শুনে সানি প্রথমে আশ্বস্ত না হলেও প্রমাণ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে কান্তিকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বাড়িতে ডেকে নেন। রেগে যান সানি। তিনি পরিচালক কান্তি শাহকে বাড়িতে ডেকে তাকে কড়া গলায় নিষেধ করে দেন এমন কোনো কাজ করতে। শুধু তাই নয়, ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে ভালো হবে না বলেও পরিচালককে হুমকি দেন সানি। কান্তি ভয় পেয়ে সানির নির্দেশে ছবিটি সরিয়ে দেন। আজ এই ছবিটি আর কোথাও পাওয়া যায় না।