দিল্লি এনসিআর( Delhi NCR) অঞ্চলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো মেয়ে সেজে অশ্লীল চ্যাটের পরে, ব্ল্যাকমেলিং র্যাকেট চালানো ওয়ান্টেড গ্যাংয়ের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম সাদ্দাম হোসেন এবং তার বয়স ২৮ বছর। অভিযুক্ত রাজস্থানের দৌসার কোট গ্রামের বাসিন্দা। আসামিকে পলাতক ঘোষণা করেন আদালত। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তাকে ছতরপুরের সাতবাড়ি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তাদের দল এমন ৫০টিরও বেশি ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে গ্রেফতারে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। স্পেশাল সেলের ডিসিপি জসমিত সিংয়ের মতে, সাদ্দাম এবং তার সহযোগীরা নয়াদিল্লির বারাখাম্বা রোড এলাকায় একজন আইনজীবীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করেছিল।
এরপর ওই আইনজীবী অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং অন্য তিন অভিযুক্তকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে সাদ্দাম হোসেন নামে এক দুর্বৃত্ত। গত ২২শে মে দিল্লির একটি আদালত সাদ্দামকে পলাতক ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে তাকে গ্রেফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, সাদ্দামের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছিল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসিপি আত্তার সিং, ইন্সপেক্টর ঈশ্বর সিং এবং সতবিন্দরের দল সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মেয়েদের ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাত। বন্ধুত্বের পর মেসেঞ্জারে কথা বলতে শুরু করত অভিযুক্তরা। এরপর ভিডিও কল করে অশ্লীল কাজে প্ররোচিত করত। পরে তা রেকর্ড করা হতো। এসব অশ্লীল ভিডিও ভিকটিমদের আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানোর হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়া হতো। এছাড়াও এই অভিযুক্তরা কিছু গরিব মানুষের ব্যাংক একাউন্টে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছিল। তারা এই টাকা গুলি সেইসব অ্যাকাউন্টে পাঠাতো। তারপর নিজেরাই অনলাইনে লেনদেন করে নিত। পুলিশ তদন্ত করছে যে এই ঘটনার জাল আরো কত ছড়িয়ে আছে।