বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ইন্টারনেট সকলের কাছে সহজলভ্য হয়ে যাবার পরে যেমন এর উপযোগিতা বেড়েছে তেমনি কেউ কেউ আবার এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ করছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। তুচ্ছ তুচ্ছ কারণে নানা ধরনের সাইবার অপরাধ ঘটাচ্ছে আজকের তরুণ প্রজন্ম। আবারো এমনই একজন সাইবার অপরাধী কে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। যার নামে অভিযোগ সেই অপরাধীর বয়স মাত্র ১৯।
দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের টিম সোশ্যাল মিডিয়ার এক স্টকারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী তরুণী অভিযুক্ত তরুণের বন্ধুত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে অভিযুক্ত ফেসবুকে মেয়েটির নামে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে, যেখানে তার মোবাইল নম্বর দেয় এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মেয়েটির ছবি নিয়ে সেটিও আপলোড করে।
নির্যাতিতা মেয়েটি দিল্লি পুলিশের কাছে এরপরে অভিযোগ করে যে কেউ তার নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে। ওই অ্যাকাউন্টে তার মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং তার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে ওই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। এরপরই এ ঘটনায় এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে সম্পূর্ন রহস্য উদঘাটনের জন্য একটি পরিকল্পনা বানায়। অভিযুক্তর সন্ধান পাওয়ার জন্য দিল্লী পুলিশ একটি দল গঠন করেন। এই দলে সবার দায়িত্ব ঠিক করা হয়েছিল। কারও কাজ ছিল প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে আসামিকে খুঁজে বের করা, আবার কারও কাজ ছিল ইনফরমারের মাধ্যমে আসামিদের পরিচয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
এ বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকেও তথ্য চেয়ে পাঠায় পুলিশ। তার থেকে অভিযুক্তর সম্পর্কে অনেক তথ্য পায় পুলিশ। যার ভিত্তিতে অভিযুক্ত তরুণ রোহিত আর্য কে শনাক্ত করে পুলিশ। জানা গেছে, দিল্লির লাজবন্তী গার্ডেনে থাকেন ১৯ বছর বয়সী রোহিত আর্য। এরপর অভিযুক্ত রোহিত আর্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধরা পড়ার পরে, রোহিত আর্য পুলিশকে জানায় যে তিনি মেয়েটিকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন, যা মেয়েটি ফিরিয়ে দেয়। এই কারণে তার খারাপ লেগেছিল এবং সে প্রতিশোধ নিয়েছিল। এরপর মেয়েটির নামে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তার ছবি ভাইরাল করতে থাকে। পুলিশ অভিযুক্তের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে, যেখান থেকে সে এই ভুয়া প্রোফাইল পরিচালনা করত। আপাতত সে বিচারাধীন।