ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলায়, সিটি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত জীবতারা গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার মাঝখানে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। সড়কের উপর এইভাবে মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। মৃতের নাম রিখিরাম সাহু। নিহতের শরীরে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতকে দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যার পর দেহ সড়কে ফেলে দেয়া হয়েছে। নগর কোতয়ালী থানা পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে শহরের কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মৃত রিখিরাম সাহুর ২জন স্ত্রী ছিল:
মৃত রিখিরাম সাহুর গ্রামবাসীরা জানান, পরিবার ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে তার কখনও বিরোধ ছিল না। তিনি শান্ত স্বভাবের একজন ভদ্রলোক ছিলেন। মৃত রিখিরাম সাহুর ২জন স্ত্রী ছিল এবং উভয় স্ত্রীর থেকে মোট ৬জন সন্তান ছিল যার মধ্যে ৪টি ছেলে এবং ২টি মেয়ে ছিল। প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন। বর্তমানে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর থেকেও আলাদা থাকেন। মৃত রিখিরামের ৪ ছেলের মধ্যে ৩ ছেলে গ্রামে এবং তার এক ছেলে অন্য গ্রামে থাকে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিত্রী সাহু গত ১২-১৫ বছর ধরে তার স্বামী রিখিরাম সাহুকে ছেড়ে তার বড় ছেলে দাগেশ্বর সাহুর সাথে থাকতেন।
নিহত ওই গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন। মৃত ব্যক্তি তার স্ত্রী সাবিত্রী সাহুকে তার সাথে থাকার জন্য একটি সামাজিক সভার আয়োজন করেছিলেন, তবে মৃতের স্ত্রী তার সাথে থাকতে অস্বীকার করেছিলেন। এ কারণে ওই বৃদ্ধ প্রতিদিন মদ ও গাঁজা সেবন করতো এবং রাগ করে স্ত্রী ও বড় ছেলেকে গালিগালাজ করতো। নিহতের একটি খামারও ছিল। সেগুলো তিনি তার স্ত্রী সন্তানদেরই দিয়েছিলেন। তবে সিটি কোতয়ালী থানা পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং সন্দেহভাজন গ্রামের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।