ভারতে পর্ন মুভি (Porn Movie) দেখে যে সকল দর্শক তার সবচেয়ে বড় অংশ হল তরুণ প্রজন্ম। সারা বিশ্বে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা ভারতে দেখা হয়। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বলা হয়, এতে প্রচুর অর্থ মে। যারা এই নীল ছবিতে অভিনয় করেন আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে যান না। কিন্তু কখনও কখনও জিনিসগুলি যেমন দেখায় তেমন বাস্তবে হয় না। অতীতে বহুবার দেখা গেছে যে এই ইন্ডাস্ট্রির অনেক অভিনেতা আত্মহত্যা করে জীবন শেষ করেছেন (Dark secrets of porn industry)। বেশির ভাগের মৃত্যুর পর জানা যায় যে তারা কোনো না কোনোভাবে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এতকিছুর পরেও যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এত টাকা, তাহলে অভিনেতারা কেন ডিপ্রেশনে যাচ্ছেন?
কয়েক বছর আগে, পর্ন অভিনেতা ৩২ বছর বয়সী ডাহলিয়া স্কাই কে লস অ্যাঞ্জেলেসে তার গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মাথায় গুলি লেগেছিল। বলা হয়েছে, তিনি নিজেকে গুলি করেছেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। তার স্তন ক্যান্সার হয়েছিল। আর সেই স্তনের ক্যান্সার স্টেজ ফোরে পৌঁছে গিয়েছিল। অ্যাডাল্ট ফিল্ম তৈরি করা হ্যান্স বলেন, পর্ন ফিল্মে কাজ করা আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দিতে পারে। আপনার অনেক টাকা থাকবে কিন্তু আপনি একাকীত্ব অনুভব করতে পারেন। কোন বন্ধু থাকে না এবং পরিবারের লোকজন ও পাশে থাকে না।
একই ভাবে আমেরিকান পর্ন তারকা ডাহলিয়া স্কাইও (Dahlia Sky) লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এছাড়া একটি ফটোশুটের কারণে অনলাইনে ট্রোলড হয়েছিলেন তিনি। একাকিত্ব তার পরে আরো এসব সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। ডাকোটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু দ্য সানকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আপনাকে অনেক উপায়ে হতাশ করা যেতে পারে। এমতাবস্থায় কার মনে কী চলছে তা বলা যাবে না। ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রযোজক থেকে লাইট বয় কী মন্তব্য করে তা বলা যাবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো মন কে বিষণ্ণ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।”