সময়টা ছিল ২০২০ সালের মার্চ মাস, সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা। তারপর থেকেই একের পর এক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে দেশকে। মানুষের বেকারত্ব যেমন বেড়েই চলেছিল সাথে অক্সিজেন অভাবের কারণে দেশ ধুঁকছিলো। শেষ পর্যন্ত ভারত এখন সুখের মুখ দেখতে চলেছে। কারণ সবদিক থেকেই এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। দৈনিক সংক্রমণ ৪হাজারের নীচে এসে ঠেকেছে। প্রবল ভাবে কমেছে অ্যাক্টিভ কেসও । অতএব বলা যায় কোভিড থেকে প্রায় সুস্থ দেশ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। যা গতদিনের নিরিখে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ কম। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ কেসও নিম্নমুখী। বর্তমানে দেশে ৪৯ হাজার ৯৪৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী আছেন। অ্যাক্টিভ কেসের হার ০.১২ শতাংশে কমে দাঁড়িয়েছে। তাই করোনা বিধিনিষেধ দেশের প্রায় সব রাজ্যেই লঘু করা হচ্ছে।
সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়েই। কিন্তু দেশে করোনার মৃত্যুহার এখনও কপালে ভাঁজ ফেলছে। গত ২৪ ঘন্টায় আবারো উর্দ্ধমুখী করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৮ জন। যদিও গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৩৬। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ২১০ জন কোভিডের বলি।
তবে নিশ্চিন্ত করছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৬ হাজার ১৫০ জন এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৮ হাজার ৫৫ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ৯৮.৬৮ শতাংশ সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭৯ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে দেশে। এর মধ্যে ২১ লক্ষের বেশি গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন। চলছে টেস্টিংও টিকাকরণের পাশাপাশি। যেমন ৮ লক্ষের ৭৩ হাজার ৩৯৫ জনের নমুনা গতকাল পরীক্ষা হয়েছে।